সেই সময় ভারতীয় হানাদার বাহিনী ও পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের অনেকেই এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন।
অবস্থাদৃষ্টে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতীয় হানাদার বাহিনীর পরিকল্পিতভাবেই কাশ্মীরে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। যাতে ঘটনাস্থলে কেই মারা না যায় - এদিকে তারা বেশ সজাগ ছিল।
ভারতীয় বাহিনীর বর্বরতায় সম্প্রতি ১৭ বছরের মেধাবী ছাত্র আসরার আহমেদ খানের মৃত্যুতে কাশ্মীরের শ্রীনগরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৬ আগস্ট আসরার তার বাড়ির সামনের রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেনাবাহিনীর টহল দল তাদের ওপর ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
কাঁদানে গ্যাসের ছোট সিলিন্ডারটি আসরারের মাথার ওপর বিস্ফোরিত হয়। তখন থেকেই সহপাঠীদের সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি ছিল মেধাবী ওই ছাত্র।
এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সম্প্রতি মারা যায় ওই ছাত্র। তার বাবা ফেরদৌস আহমেদ খান জানান, তার নিরপরাধ ছেলেকে ভারতীয় হানাদার বাহিনী বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করেছে।
সাংবাদিকদের তিনি হাসপাতালের রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, আসরারের ডেথ রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে- ছররা গুলি ও টিয়ারগ্যাসের শেলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু কাশ্মীরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা লে. জে. কেজেএস হাস্যকর দাবী করে বলেছে, পাথরের আঘাতে আসরারের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় হানাদার বাহিনীরকে লক্ষ্য করে কাশ্মীরিদের নিক্ষেপ করা পাথরই নাকি তার মাথায় আঘাত লেগেছে।
শুধু তাই নয়, ভারতের হিন্দুত্ববাদি সরকার দাবি করেছে- কাশ্মীরে কারফিউ জারির পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কেউ নাকি মারাও যায়নি।
এ ছাড়া গত ২৯ আগস্ট শ্রীনগরে গোলাম মুহম্মদ নামে এক দোকানদারকে মোটরসাইকেলে করে এসে তিন উগ্র হিন্দুত্ববাদি সন্ত্রাসী গুলি করে হত্যা করে। এ সময় দোকানে তার স্ত্রীও বসেছিলেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীর
ভারত
0 facebook: