23 September 2019

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইজে সুকৌশলে নবীজির কার্টুনের ভিডিও ছড়ানো ও আমাদের নীরবতার ভবিষ্যত


রাজিব খাজা।। ইসলামবিরোধীদের একটি পলিসি হচ্ছে, ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করার আগে তারা পরীক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদি তারা দেখে, মুসলমানরা সচেতন রয়েছে তাহলে তারা আর সাহস পায়না পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার। কিন্তু যদি দেখে মুসলিমরা অসচেতন তাহলে তারা একের পর এক কটুক্তি করতেই থাকে।

মূলত একটি কথা সর্বমহলে প্রচলিত যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দ্বীন ইসলামের অবমাননা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। কথাটি যে অমূলক নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিরোনামের ফেইসবুক পেইজে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে মানহানিকর কার্টুন প্রকাশ করার মাধ্যমে। মূলত সিংহভাগ মুসলমানদের এই দেশে আজকে যদি নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে মানহানিকর কার্টুন প্রকাশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি অধিদপ্তর তথা দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি সুনিশ্চিত করা না হয় তবে এদেশের রাসুলপ্রেমিক মুসলিম জনতা রাজপথের নেমে এসে এদের বিচার করতে বাধ্য হবে।

সুতরাং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইটি ডিপার্টমেন্ট তারা তাদের ফেইসবুক পেইজ পরিচালনাকারী হিন্দু ও নাস্তিক (এডমিন প্যনেলের আইডি আমাদের নিকট আছে) ব্যক্তিদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করুক। নচেৎ দেখা যাবে কোন নবী প্রেমিক তাদের খুজে বের করে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে হত্যা করে ফেলেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিরোনামের সেই ফেইসবুক পেইজে এই অবমাননাকর কার্টুন সরাসরি দেখানো হয়েছে। দেখুন এখানে। নিউজের জন্য ডিলিট করে দিলে আর্কাইভে প্রমান দেখুন এখানে (http://archive.is/AAWsh)

এবং বলা হয়েছে যে সেটা পর্ব এক। অর্থাৎ তারা আরো পর্ব প্রকাশ করে তারা স্মরণকালের নিকৃষ্ট অবমাননা করতে চাইছে।

কাজেই সরকার যদি এই অবমাননাকর কার্টুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, কার্টুন নির্মাতাদের ধরে ফাঁসি না দেয়, বিটিআরসির মাধ্যমে যদি ইউআরএল ব্লক না করে তবে উন্মত্ত জনরোষ সরকার পতনসহ আরো অনেক বড় দুর্বিপাক এর জন্ম দিবে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন কতটুকু শক্তিশালী তা মিসরের বর্তমানের সিসি বিরোধী আন্দোলন প্রত্যক্ষ করলেই বোঝা যায়, সেখানে সেই আন্দোলনের বিষয় যদি হয়ে থাকেন রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহলে তো কোন কথাই নাই।


শেয়ার করুন

0 facebook: