ডা. মু. রিয়াদ ভূঁঞা রাজীব।। বাঙালি ফাও পেলে আর সেটা নিয়ে ভাবে না। কিন্তু মাগনা গরুর দাত নাই বলে একটা কথা আছে। এটা এটা যে ফাও সেবা না, মিশনারিদের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে, সেটা হলো খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তর! যেটা খুব সুন্দরভাবে হানিফ সংকেত এড়িয়ে গেছেন। আপনাকে আমাকে সেটা বুঝতে হবে।
২০১৬ সালের মে মাসে আমি কাইলাকুড়ি গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর পরিবেশ। বাংলাদেশে মাটির ঘরের এরকম হাসপাতাল আর আছে কিনা সন্দেহ আছে। সেখানে যারা কাজ করে মোটামুটি তাদের সবার সাথেই আমার দেখা হয়। মূলত ডায়াবেটিস সহ আরো কিছু অন্য রোগের অল্পসংখ্যক রোগীদের সেখানে রেখে ট্রিটমেন্ট করানোর ব্যবস্থা আছে। আগেই বলে রাখি ইত্যাদি বা অন্য মিডিয়ার মাধ্যমে ঐ হাসপাতালের নাম আমি জানিনি। কৌতুহল বা জানার আগ্রহ নিয়ে ওখানে আমি যাইনি, গিয়েছিলাম ১১ বছর বয়সী ডায়াবেটিসের রোগী নিয়ে। ওখানে মূলত গরীব রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। খ্রিষ্টান মিশনারীর মাধ্যমে হাসপাতালটি পরিচালিত হয় এবং সেবার মাধ্যমে স্থানীয় উপজাতিদের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার লক্ষণীয়। এছাড়াও ইসলাম ধর্মীয় লোক টার্গেটে আছেন।
সপ্তাহে একবার গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের দুজন ডাক্তার সেখানে আসে। বাকী বা পুরো সময়টা মেডিক্যাল এসিস্টেন্ট দিয়ে সব কাজ চালানো হয়। আজ দেখলাম এমেরিকান ডাক্তার দম্পতি হাসপাতাল চালাচ্ছেন।
২০১৩ সালে ইত্যাদির প্রচারেরও আগে ডা. মোস্তাফিজ নামের একটা ভদ্রলোক প্রথম আলোর মাধ্যমে জানতে পেরে আগ্রহী হয়ে ডা. এড্রিক বেকারের সাথে ঢাকায় দেখা করেন। তিনি তখনো ডিপ্লোমা প্যারা মেডিকসরা দ্বারা ঐ হাসপাতাল চালাচ্ছিলেন, কিন্তু এড্রিক সাহেব কোন গ্রাজুয়েট ডাক্তার কে দায়িত্ব দিতে চান নাই। কারণ মাথায় নিউরন ওয়ালা কোন মুসলিম ডাক্তার দায়িত্ব পেলে উনার মিশনের ১২ টা বেজে যেত।
আরেক ডা. মো. শাহ আলম। যিনি সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ছিলেন। ভালোবেসে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বিলাসী জীবন ছেড়ে ফিরে আসেন জন্মভূমি বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের কুমিরাতে নিজ এলাকায় চালু করেন বেবী কেয়ার নামে স্বল্প খরচের একটি হাসপাতাল। নিজ এলাকায় হাসপাতাল খুললেও প্রতিদিন নগরীর চান্দগাঁও বাসা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে এ হাসপাতালের দেখভাল করতেন। কিছুদিন আগে এই ভদ্রলোক খুন হন। তখন কেউ লজ্জায় ভাসে নি।
আরেকজন ডাক্তার অধ্যাপক মনসুর খলীল। জীবনের পুরো সময়টা মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও দরিদ্র মানুষের পেছনে দিয়ে গেলেন। সরকারি চাকুরী করতেন। মারা যাওয়ার পর ব্যাংকে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র দু হাজার টাকা। এই খবর কোন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বলেও আমি শুনিনি। তখনো কেউ লজ্জায় ভাসে নি।
কিন্তু তবু আজ বাংলাদেশের ডাক্তারদের কারনে ফেসবুকে পুরো দেশ লজ্জায় ভেসে যাচ্ছে। সাদা চামড়া বা অবাঙালি না হলে আমাদের আবেগটা ঠিক আসে না!
খবর বিভাগঃ
ইহুদীদের চক্রান্ত
মতামত
স্বাস্থ্য
0 facebook: