স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের
উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা)
সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে
চলছে। পাসপোর্ট অধিদফতর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
রোববার
পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৯ লাখ ৫ হাজার ৪ শত ৬৮ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা
হয়েছে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক রোববার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু
সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে।
বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
সরকারি
তথ্য বিবরণীতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, শনিবার পুরোদিনে সাতটি কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার
৬ শত ৪১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
এদিন
কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৫৫০ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৫ জন পুরুষ
এবং ২৬৫ জন নারী রয়েছে।
কুতুপালং-২
ক্যাম্পে ১ হাজার ৩৭৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০৭ জন পুরুষ এবং ৬৬৭ জন নারী
রয়েছে।
নোয়াপাড়া
ক্যাম্পে এক হাজার ৬০১ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১১ জন পুরুষ, ৮৯০ জন
নারী রয়েছে।
থাইংখালী-২
ক্যাম্পে ৪০২ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯২ জন পুরুষ, ২১০ জন
নারী রয়েছে।
বালুখালী
ক্যাম্পে ৩৪৪ জন পুরুষ,
৩৮০ জন নারী মিলে মোট ৭২৮ জনের, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ২ শত ৮১ জন পুরুষ, ৩২৫ জন
নারী মিলে ৬০৬ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) প্রতিবেদন মোতাবেক গতকাল পর্যন্ত
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭০ জন। অনুপ্রবেশ
অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা
২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: