স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ইসরাইলি
সেনাদের বর্বরতার প্রতিবাদে তাদের চড় ও লাথি দেয়ার ঘটনায় আলোচিত ফিলিস্তিনি কিশোরী
আহেদ তামিমির বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ এনেছে দখলদার কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি
নিজ পরিবারের সদস্যদের ওপর বিনাকারণে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তামিমি পশ্চিমতীরে দুই সেনাসদস্যের
ওপর চড়াও হন। তিনি সেনাদের চড় ও
লাথি দেন। এ ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে
তামিমিকে আটক করে ইসরাইলি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে তামিমি আটক রয়েছে। এ ঘটনায় তামিমির মা
নারিমান এবং তার চাচাতো বোন নাওরকেও আটক করা হয়। সোমবার ইসরাইলের এক সেনা আদালতে তামিমির বিরুদ্ধে
অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।
তামিমির
আইনজীবী গাবি লাস্কি জানান,
তামিমির বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা, তাদের কাজে বাধা প্রদান এবং পূর্বে ইসরাইলি সেনাদের ওপর পাথর
নিক্ষেপের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তামিমির মায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া ও ইসরাইলি সেনাসদস্যদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে
রোববার তামিমির বোন নাওরের বিরুদ্ধে সেনাসদস্যদের লাঞ্ছিত করা এবং তাদের কাজে বাধা
প্রদানের অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি দখলকৃত পশ্চিমতীরের নবী সালেহ গ্রামে তামিমির এক আত্মীয়কে
মাথায় গুলি করে ইসরাইলি সেনারা। ফলে শিশুটি কোমায় চলে যায়। এর পর ইসরাইলি সেনাদের নিজেদের বাড়ির সামনে
দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তামিমি ও তার চাচাতো বোন।
এ সময়
তামিমি এক সেনাসদস্যকে লাথি ও চড় মারেন। তার বোন নাওর ঘটনার ভিডিও করেন। পরে ভিডিওটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: