আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মুসলিম
পরিচয়ের কারণে বর্ণবাদী আচরণ থেকে রক্ষা পেল না নববর্ষের প্রথম প্রহরে জন্ম নেয়া নিষ্পাপ
শিশুটিও। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইন্টারনেটে
ব্যাপক বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয় সে।
নতুন
বছর শুরু হওয়ার ৪৭ মিনিটের মাথায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের
জন্ম দেন এক মুসলিম নারী। শিশুটিকে ভিয়েনার ‘নিউ ইয়ার বেবি’ অর্থাৎ নতুন বছরে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই
আর সব দেশের মতো তাকেও সবাই অভিনন্দন জানাবে এমনটাই ভাবা হচ্ছিল; কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটা। অস্ট্রিয়ান অনলাইন ব্যবহারকারীরা আসেল নামের
শিশুটি ও তার পিতামাতাকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী ও ঘৃণাত্মক মন্তব্য করেছে।
অনলাইন
অধিকার ও উদ্বাস্তু সহয়তা বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, একটি নবজাতককে উদ্দেশ্য
করে সরাসরি এমন বর্ণবাদী মন্তব্য আগে কখনো দেখেনি তারা।
ভিয়েনার
রোমান ক্যাথলিকদের একটি দাতব্য সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল ক্লাউস চার্টনার তার ফেসবুক
পেজে লিখেছেন, ‘জীবনের প্রথম প্রহরেই মিষ্টি মেয়েটি অবিশ্বাস্য কিছু সহিংসতা
ও ঘৃণা বিদ্বেষের শিকার হলো। নবজাতককে টার্গেট করে এই কর্মকাণ্ড অনলাইনে ঘৃণা প্রচারের নতুন
এক মাত্রা।’
এসব
মন্তব্যের বেশির ভাগই ছিল অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক ও টুইটার পেজে পাঠকের
করা। বাবা-মায়ের সাথে আসেলের
ছবিসহ খবরের নিচে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে অস্ট্রিয়রা। দেশ থেকে বের করে দেয়ার দাবি এমনকি শিশুটির
মৃত্যুও কামনা করেন অনেকে।
সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে অস্ট্রিয়াতে মুসলিমবিদ্বেষ ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক
দলগুলোর উত্থানও ঘটেছে ব্যাপক। কয়েক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে দেশটিতে
একটি কট্টরপন্থী দল যৌথভাবে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দেশটিতে।
সূত্র
: নিউইয়র্ক টাইমস
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: