14 January 2018

তীব্র শীতে আমরণ অনশন চলছে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের

স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির পর আমরণ অনশন করছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে

প্রেসক্লাবের সামনে তীব্র শীতে কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে শুয়ে শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন করছেনটানা চারদিনের অনশনে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেনঅসুস্থ শিক্ষকদের কারও কারও শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে

আমির হোসেন নামে এক শিক্ষক বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেনবেতনহীন চাকরিতে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছিদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবেএই শীতে মরে যাবো তবুও রাজপথ ছাড়বো না।  

দাবির বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বলেন, ১৯৯৪ সালে জারি হওয়া একটি পরিপত্রে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫শটাকা নির্ধারণ করা হয়পরবর্তীতে বিগত সরকারগুলোর আমলে ধাপে ধাপে বেতন বাড়তে থাকেকিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো বেতন বাড়েনি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করেইবতেদায়ি মাদ্রাসাতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়প্রাথমিকের শিক্ষকেরা অনেক টাকা বেতন পানঅথচ ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫শটাকা, সহকারী শিক্ষক ২ হাজার ৩শটাকা ভাতা পানএটা অমানবিক ও শিক্ষকদের অবমাননা

জাতীয়করণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করার পর ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষকরাএ কর্মসূচিতে শত শত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক অংশ নিয়েছেন


শেয়ার করুন

0 facebook: