স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার
বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির একটি সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ
প্রকাশ করে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ছেন বলেছেন, ‘আওয়ামী
লীগের সাথে নির্বাচনে গেলেই জামায়াত ভালো, কিন্তু যখন
বিএনপির সঙ্গে আসবে তখন যুদ্ধাপরাধী হয়ে যায়।
তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের
গণতন্ত্র থাকলে আলোচনা এবং সমঝোতা থাকবে, গ্রহণযোগ্য
নির্বাচনের প্রসঙ্গ থাকবে। কিন্তু ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে
খুশি তাকে দেব-এরকম যে একটা কথা আছে তা সরে গেছে। কিন্তু আমরা এ জায়গায় ফিরে আসতে
চাই। উৎসবমুখর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন চাই আমরা। এজন্য
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি প্রত্যাশা করছি, তিনি গণতন্ত্রের
নেত্রী হিসেবে দাবি করেন, তার দল দাবি করে, সেই জায়গা থেকে
তিনি যাতে ভাবতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন,
‘বর্তমান
সংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। কারণ,
নির্বাচনের
সময় যে সরকার থাকবে সে সরকারটি পরিচালনাকারী সরকার হিসেবে কাজ করবে। এতে কোনো
সন্দেহ নেই। সেখানে ৪০ জন মন্ত্রী থেকে যদি ২০ জন মন্ত্রীও ধরি তাহলে মন্ত্রণালয় বাড়বে।
কিন্তু ক্ষমতার পরিধির কোনো পরিবর্তন হবে না।’
‘আর যদি পরিবর্তন
না হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অর্থ মন্ত্রণালয় যেভাবে কাজ করছে তখনও এভাবে কাজ
করবে। পুলিশ, প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রী একইভাবে চলবে’ বলেন
তিনি।
এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, ‘এরশাদ যখন ক্ষমতাচ্যুত হন, এর কয়েকদিন আগেও
বলা যায় নি তিনি ক্ষমতা হারাবেন। তাই আন্দোলন কখন এবং কোন জায়গায় মোড় নেবে তা বলা
মুশকিল। জাতি বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রের প্রশ্নে শুধু আন্দোলন নয়, যুদ্ধ
করেছে।’
তিনি বলেন,
‘আওয়ামী
লীগও কিন্তু অনেক সময় নির্বাচন করেনি। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং বিএনপি
নির্বাচন বিরোধী দল এটা ভাবার কোনো কারণ নাই।’
তিনি আরও বলেন,
‘খালি
চেতনা মানলে হবে না, মুক্তিযুদ্ধ মানলে বাক-স্বাধীনতা মানতে হবে। গণতন্ত্র
থেকে আমরা যদি বাকশালে ফিরে যাই, তাহলে আমরা কি গ্রহণ করব? গণতন্ত্র
না থাকলে বাংলাদেশের কোনো অর্থ নাই, মুক্তিযুদ্ধ নাই। আর ভোটাধিকার না
থাকলে গণতন্ত্রের কোনো গুরুত্ব নাই। মানুষের মত প্রকাশ করার অধিকার যদি না থাকে,
তাহলে
আমাদের জাতির জন্য আর কোনো খারাপ বিষয় আছে বলে আমার মনে হয় না।’
0 facebook: