আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কিশোরী তামিমি’র পর
ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠে ১৬ বছরের কিশোর ফাউজি আল জুনাইদি। জেরুজালেমকে
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর পরই তার প্রতিবাদে
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বিক্ষোভ। গত ৭ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনের হেব্রুনের
ওয়েস্ট ব্যাংক সিটিতে বিক্ষোভ করার সময় ১৬ বছরের কিশোর ফাউজ আল জুনাইদিকে
ইহুদীবাদী ইসরাইলি সৈন্যরা গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। জুনাইদির এই চোখ
বাঁধা ছবি মূহূর্তের মধ্যেই সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও
জুনাইদিকে গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশিত হয়। ইসরাইলি কারাগার
থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর ছাড়া পায় জুনাইদি।
পবিত্র বায়তুল
মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) শরীফ ইস্যুতে ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদার অন্যতম প্রতীক
১৬ বছরের কিশোর ফাউজি আল জুনাইদি এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার তিনি তুরস্ক
সফরে যান। জানাগেছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগানের সঙ্গে
দেখা করবেন মুহম্মদ জুনাইদি।
জুনাইদির বাবা
জানিয়েছেন, “জুনাইদি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন। তুরস্কে
তিন দিন অবস্থান করবেন। এসময় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। জুনাইদি তার অভিজ্ঞতা নিয়ে
তুরস্কের স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলবেন।” এদিকে,
তুরস্কে
পৌঁছে আনাদুলা এজেন্সিকে জুনাইদি বলেছেন, কারাগার থেকে বের
হয়ে তিনি তার খ্যাতির কথা জেনেছেন।
“কারাগারে আমরা
কিছুই দেখতে পাইনি। কারাগারে তারা সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, টেলিফোন
ও টিভি নিষিদ্ধ করেছে। আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে একটি
মাত্র টেলিভিশন আছে যেটাতে নির্দিষ্ট একটি চ্যানেল দেখা যায়। আমরা এই চ্যানেলের
কিছুই অনুসরণ করিনি। এটা শুধু ইসরাইলিদের কাজগুলো দেখায়। কারাগার থেকে বরে হয়ে
আমার ছবিটি দেখার সুযোগ হয়েছে।” বলেছেন জুনাইদি।
ফিলিস্তিনি এই
কিশোর তুরস্কবাসী ও প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারা
তাকে গ্রহণ করেছেন এবং একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। জুনাইদি বলেছেন, “আমাকে
নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের করা মন্তব্যের বিষয়ে আমি শুনেছি। আমি এতে অনেক খুশি
হয়েছি। আমরা তাকে অনেক ভালবাসি।”
ইসরাইলি সৈন্যদের
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে জুনাইদি আরও বলেছে, তিনি ইসরাইলি
সৈন্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাগুলোতে তিনি অস্ত্রপচার করাবেন।
তার কাঁধ ও বাহুতে এখনও ব্যথা করে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: