এই সেই কুরআনে হাফেজ রায়হান রাফি |
রণবীর
ভট্টাচার্যঃ ”পোড়ামন ২” ছবির পরিচালক
রায়হান রাফি নাকি কুরআনের হাফেজ। সুতরাং তার চেয়ে বড় ধার্মিক কেউ হতে পারে না।” এমনই দাবি করেছিলো জাজ কর্ণধার আজিজ।
তবে আমার যেটা
মনে হয় তা হলো, এই ভন্ড রাফি কুরআন শুধু তোতা
পাখির মতই মুখস্ত করেছে। তার দিকে তাকিয়ে আপনারাই বলুন সে কি সত্যিই কোরআনে হাফেজ!? কুরআনে হাফেজ মানে জ্ঞানী ব্যক্তি। আর জ্ঞানী ব্যক্তিকে ইসলামে আলেম বলে থাকে। অথচ সে ইসলামিক শরীয়তের খিলাফ
হারাম সিনেমা বানিয়ে তাকে যায়েজ বলে স্বীকৃতি দিতে নিজেকে হাফেজ বলে দাবি করে মূলত
মানুষকে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
জাজ কর্ণধার
বলেছে, ”সে (রায়হান রাফি) ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসায়
লেখাপড়া করেছে। কুরআন শরীফের প্রতিটি আয়াত সে
বাংলায় বোঝে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সুতরাং তাকে দিয়ে আপনারা ইসলাম
বিরোধী কিছু আশা করবেন না।”
অথচ তার গেটাপ
দেখলে মনে হয়না সে কোনদিন কোন মাদ্রাসাই পড়াশুনা করেছে। আর একজন মাদ্রাসার ছাত্র কখনো ছবির পরিচালক হতে পারে
না। আমার জানা মতে এইটা ইতিহাসেও
নেই।
সে আরো বলেছে,
“এই পোস্টারে বাঙালি মেয়েদের চার হাজার বছরের পুরনো কালচার
নাকি তুলে ধরা হয়েছে। এই পোস্টের বোরকা গল্পের সাথে সম্পৃক্ত, কিন্তু ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত নয়। গ্রাম বাংলার কালচারের সাথে জড়িত নাকি এই বোরকা। (তাহলে কি বোরকা ধর্মের বাইরের পোশাক?)
আর ‘পোড়ামন ২’ ফোক গল্পের ছবি। পুরোটাই রোমান্টিক-ট্রাজেডি
গল্পের ছবি।”
এই আজিজ জাজ এর
কর্ণধার এর ভাষ্যমতে আমার মনে হয়,
১) ছবিটি দিয়ে
বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য ছবিটির পোষ্টার বোরকাময় করা হয়েছে।
২) ছবিটিতে
মুসলমান মেয়েদের তাদের পোশাক বোররা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরী করার চেষ্টা
করানো হবে বলে মনে হচ্ছে বা বোরকা পোশাক ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্ক নেই। কারন তার (আজিজ) কথা মতে,
“এই পোস্টারে বাঙালি মেয়েদের চার হাজার বছরের পুরনো কালচার
তুলে ধরা হয়েছে।”
৩) অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা
মুসলিম সমাজে প্রচার চালানো।
এছাড়া আরো কিছু
কারন থাকতে পারে। তা ছবিটির ট্রেলার বের হলেই দেখতে পারবেন।
এছাড়াও আরো
পড়োতে পারেনঃ (জাজ
মাল্টিমিডিয়া আবারও ইসলাম অবমাননাকর বিতর্কিত মুভি তৈরী করছে) এবং (পরিচালক কোরআনে হাফেজ
তাই ‘পোড়ামন
২’ ইসলাম
বিরোধী ছবি নয় বলে দাবি?)
খবর বিভাগঃ
ধর্মীয় বিদ্বেষ
মতামত
0 facebook: