আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে পুরো জাতি যখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে, তখন প্রকাশ্যে এসেছে আরেকটি ভয়ঙ্কর 'ধর্ষণের' ঘটনা। সেটি ঘটেছে দেশটির গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরে।
শহরটিতে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই শিশুটির শরীরে ৮০টির বেশি আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল সুরাটের বেস্টন এলাকায় ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএনআই-এর খবরে বলা হয়, পাঁচ ঘণ্টা ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদনে জানা গেছে কমপক্ষে আট দিন ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও অত্যাচার করা হয়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই শিশুর শরীরের বেশিরভাগ আঘাত কাঠের কোনো অস্ত্র নিয়ে করা হয়েছিল। পরে তাকে হত্যা করা হয়।
সুরাটের সিভিল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান গনেশ গোভিকার বলেন, ‘ময়নাতদন্ত করার সময় আমরা ওই মেয়েটির শরীরে এমন কিছু আঘাতের চিহ্ণ পাই যেগুলো এক থেকে সাত দিনের মধ্যে করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে তার শরীরে ৮৬ আঘাতের চিহ্ন ছিল।’
পুলিশ অফিসার কেবি ঝালা বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুর লাশ একটি ক্রিকেট মাঠের পাশে, যেখানে লোকজন সকালে হাঁটতেন সেখানে পাওয়া যায়... আমরা মেয়েটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।’ সম্প্রতি ভারতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংস্থা। এ প্রসঙ্গে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনো সভ্য সমাজের অংশ হতে পারে না এবং অপরাধীরা কেউই পালাতে পারবে না। দেশ হিসেবে, সমাজ হিসেবে এটা (ধর্ষণ) আমাদের সবার জন্যই লজ্জা।’
মোদি আরও বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে নিশ্চয়তা দিতে চাই, কোনো অপরাধী ছাড় পাবে না, সবাই ন্যায়বিচার পাবে। আমাদের মেয়েরা অবশ্যই সুবিচার পাবেন।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্ষণ
0 facebook: