স্টাফ রিপোর্টারঃ সাংবাদিক আনিস আলমগীরের একটি ফেসবুক স্ট্যটাস এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে প্রেশার ক্রিয়েট করলে, উগ্রপন্থী ইসলাম বিদ্বেষী টিভি উপস্থাপক অঞ্জন রয় কে উদ্যেশ্য করে এক জ্বালাময়ী স্ট্যটাস দিয়েছেন তিনি, যা স্বদেশবার্তার পাঠকদের নিকট হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
আমি তোমার দেবীকে ‘সেক্সী’ বললাম কেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে বললে পোষ্ট দিয়ে, আমি চাইলাম, কারণ আমারতো ইনটেনশনই নেই কোনও দেবীকে অপমান করার। তারপরও তুমি নিবর কেন! আমাকে গালাগালি করার, হিন্দু মৌলবাদীদের দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছ কেন? ইস্যুটা থাকলে তোমার আর তোমাদের ব্যবসা জমে তাই না।
যদিও তুমি আমার
বন্ধু তালিকায় ছিলে বলে সেই পোষ্টে এসে তা বলতে পারতে। কিন্তু বলনি, কারণ
তোমার একটা হিন্দু নেতা হওয়ার কার্ড দরকার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে টকশোতে টাকার বিনিময়ে
গেষ্ট এনে তোমার ধান্ধাবাজি করা, পাবনায় এক জমি তিনবার বেঁচে
সংখ্যালঘুর বাড়ি দখল বলে চিৎকার করাসহ সব প্রচারণার কাহিনী এখন অনেকে জানে। তোমার
শাহবাগে বিপ্লবী হয়ে পরে পলায়ন- সব কিছুর দুর্গন্ধ মিডিয়ায় ভরে গেছে।
আমাদের গায়ে আসে
সে গন্ধ হে ধান্ধাবাজ। সেটা কাভার দেওয়ার একটা কার্ড দরকার। তোমার ফলোয়ার আছে
হাজার হাজার স্বধর্মীয়, তাদের কাছে ইমেজ বাড়ানো দরকার।
তুমি নিজের
ধান্ধা ছাড়া এদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু না করলেও তোমার নামটা বাংলায় বলে,
তুমি
অসাম্প্রদায়িক আর আনিস আলমগীর নামটা আরবী-পার্সি। তাই আনিস আলমগীর হিন্দুদের
স্বার্থে এ জীবনে যাই লিখুক, যাই বলুক, জীবনে একটা কটুকথা
না বলুক- তাকে ঘায়েল করা যাবে। কারণ সে মুসলমান আর তুমি অসাম্প্রদায়িক ধর্মের লোক!
হ্যাঁ অনুভুতিতে
আমারও লেগেছিল যখন ক্লাস নাইনে আমাকে পুজোয় যেতে বাধ্য করেছিল হিন্দু শিক্ষকরা। কারণ
তোমার মাটির মা বিদ্যা দিতে পারে এটা আমার তখনও বিশ্বাসে ছিল না এখনও নেই। তাই বলে
তোমার মতো আমাকে মা মা করতে হবে কেন! তোমার ভক্তি তোমার কাছে, আমার
কাছে সেটা মাটির পুতুল। সেক্সি করে বানানোর যত কৌশল আছে প্রয়োগ করার পর তাকে
সেক্সি মনে হলে তোমার অনুভুতিতে লাগবে আর আমার অনুভুতি নেই? অনুভুতি
কি তোমার একার?
একটা প্রায় ৯০ শতাংশ
সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের দেশে তুমি মাটির পুতুলের কাছে বিদ্যা চাওয়ার জন্য একদিন
স্কুল কলেজ বন্ধ রাখবা- মুসলমান ছেলে মেয়েদের দিয়ে প্রতিমা সাজাবা- এই আবদারতো
আমরা দিনের পর দিন মেনে আসছি। কারও অনুভুতিতে লাগেনা? পৃথিবীর কয়টি
দেশে সংখ্যালঘুর এই আবদার মানা হয়। বাংলাদেশে মানা হয়। আমরাই মানি। শেখ হাসিনার
সরকার তোমাদেরকে দিয়েছে, এই রাষ্ট্র তোমাদেরকে সেটা দিয়েছে।
হা অতীতে কিছু
ঘটনা ঘটেছে। এখনও যে ঘটেনা তাও নয়। তুমি কোথাও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে এই দেশের
সংখ্যাগরিষ্ট মানুষদের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বলে, রাষ্ট্র গেল বলে
ফেনা তুলবা সেটাতো মিথ্যাচার। অপমান।
বলতো কাল যে সারা
দেশে তোমার দেবীর পূজা হল, এক জগন্নাথ হলেই প্রায় ৫০টি সরস্বতী প্রতিমা দিয়ে
পুজা হল- সেটা আর কয়টি দেশে হয়েছে এমন করে? তুমি কি তার কোনও
খবর পাঠিয়েছ পাশের দেশে, যেখানে যাওয়ার জন্য তুমি মুখিয়ে থাক, আর
মোদি সাহেব ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন- যে আসুক হিন্দু হলে নাগরিকত্ব দেবে। আমি কিন্তু সে
খবর দেখিনি। কারণ তোমাদের কাছে সম্প্রীতির খবর খবর নয়।
তোমাদের কাছে গড়ে
মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক বলাই ফ্যাশন। ক্ষমা চাওয়ার কথা আসলে তোমাদের বাহানা। তোমাদের
দরকার ইস্যু।
যে পোষ্ট নিয়ে এতো বিতর্ক সেইটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
যে পোষ্ট নিয়ে এতো বিতর্ক সেইটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
খবর বিভাগঃ
ধর্মীয় বিদ্বেষ
মতামত
0 facebook: