![]() |
গোটা বাসটিকে তোলা সম্ভব হয়নি। ক্রেন দিয়ে যখন বাসটি টেনে উপরে তোলা হচ্ছিল তখন লাশ ভরা বাসটি ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে পানির উপর। ঝুলন্ত বাসে ৩২ জনের মৃতদেহ। কিন্তু আর উপরে তোলার ঝুঁকি নেয়া হয়নি। অন্ধকার নেমে এলে উদ্ধারের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, ওই অবস্থাতেই উদ্ধারকারী দল বাসের ভেতর থেকে একের পর এক মৃতদেহ বের করে আনতে থাকে।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন জল থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করেন। তার মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। উদ্ধারের পর এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পানির গভীরতা বেশি থাকার জন্য প্রথম দিকে উদ্ধারকাজে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’
পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে জলে পড়ে যায় বাসটি।’’ উদ্ধারকাজ শুরু হতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নদীতে পানি বেশি থাকায় প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়েছিল।’’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
দুর্ঘটনা
0 facebook: