30 January 2018

ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যপারে ইরান কেনো আমাদের সাথে ধোকাবাজি করছে?


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতেবিশেষ করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই প্রচেষ্টা আরো বেড়েছেএরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার নিউইয়র্কে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মিটিংয়ের আয়োজন করা

গত মাসে ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মূল অংশ দেখিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি দাবি করেছিলেন, এটি একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং এটি ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেছিলসোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিকি হ্যালি ওই বিধ্বস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ভাঙা অংশ প্রদর্শন করেন

এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন- কেউ হয়তো হ্যালিকে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্যাট্রিয়ট মেরে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে সেটি অক্ষত অবস্থায় মাটিতে নামে নাতাই এবার কথিত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ভাঙা অংশ দেখানো হয়েছেকিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রে ইরানি যে প্রতিষ্ঠানের লোগো প্রদর্শন করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠান আমাদের খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষা করে; ক্ষেপণাস্ত্রের নয়ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র কি মানুষের খাবার? এভাবে দ্বিতীয়বারের মতো ভুয়া দলিল তুলে ধরতে গিয়ে ধরা পড়লেন নিকি হ্যালি

জারিফ তার বক্ত্যবের প্রমাণ হিসেবে ইরানি চিপসের একটি প্যাকেট তুলে ধরেনতিনি নিকি হ্যালিকে উদ্দেশ করে বলেন, আবার চেষ্টা করে দেখুন জাল দলিল প্রদর্শন করে ইরানকে দায়ী করতে পারেন কিনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সরকার ইরানের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেপ্রথমত, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে তুলে ধরা, দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের জন্য তেহরানকে অভিযুক্ত করা এবং তৃতীয়ত, ইরানে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উত্থাপন করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করেই ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে সবচেয়ে খারাপ চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেনসাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন এই সমঝোতায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সোমবার মধ্যাহ্নভোজের পর বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো পরমাণু সমঝোতায় পরিবর্তন আনার দাবি থেকে সরে আসবেন


শেয়ার করুন

0 facebook: