স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বাজারে চালের
দর নিয়ন্ত্রণে আগামী মার্চ থেকে আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছে সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকা
কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। এই কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল দরকার হবে। বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে
দ্বিতীয় পর্বে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি গুদামে চালের
সংকট থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছিল। বর্তমানে সরকারের গুদামে চালের মজুদ বাড়ায় হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচিটি আবার
চালু করা হচ্ছে।
পল্লী অঞ্চলের
হতদরিদ্রদের সাহায্যার্থে প্রতি বছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর-
এই পাঁচ মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য নিয়ে এই কর্মসূচি চালু
করে সরকার। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন
করেন।
শুরুতে
হতদরিদ্রদের তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকা, বাইরে বেশি দামে চাল বিক্রি করা, ওজনে কম দেয়াসহ
নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া সুবিধাভোগীদের কার্ড বাতিল, ডিলারশিপ বাতিল, ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও
বিভাগীয় মামলা, জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের
শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়। পরে সরকার যাচাই-বাছাই করে ৫০ লাখ হতদরিদ্রের তালিকা খাদ্য অধিদপ্তরের
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
খাদ্যমন্ত্রী
বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত
নিয়েছিল সরকার। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন
চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন,
বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুত আছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার টন চাল এবং বাকিটা গম।
খাদ্যসচিব
শাহবুদ্দিন আহমদ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল
হাসানসহ খাদ্য অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: