 |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ এর আগে চলতি মাসের
শুরুতে ৩২ জন পদত্যাগ করেছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগে অর্থাৎ
স্মার্টকার্ডের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪০ জন টেকনিক্যাল ও সহকারী এক্সপার্ট পদত্যাগ
করেছেন। আজ সোমবার তারা পদত্যাগ করেছেন। সব মিলে মোট ৭২ জন পদত্যাগ করলেন।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর
এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস প্রকল্পে (আইডিইএ) কর্মরত এসব টেকনিক্যাল
এক্সপার্ট এনআইডি সংশোধন, স্মার্টকার্ডসহ জাতীয়
পরিচয়পত্রের বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে
তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসার পরও তা কার্যকর না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে
পদত্যাগ করেছেন। দুই দফায় এ গণপদত্যাগের কারণে এনআইডি সেবা মারাত্মক বিঘ্নিত হতে পারে বলে
শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পদত্যাগকারীদের
মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক টেকনিক্যাল এক্সপাট বলেন, সাবেক কাজী রকিব কমিশন ও বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)
কে এম নুরুল হুদা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বললেও এনআইডির কিছু পদস্থ
কর্মকর্তার কারণে তা থমকে আছে। বারবার আশ্বস্ত করা হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে,
২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন (পিইআরপি) প্রকল্পে
টেকনিক্যাল ম্যানেজার, সহকারী টেকটিক্যাল ম্যানেজার ও
টিম লিডার হিসেবে কাজ করে আসছেন ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদমর্যাদার প্রায় একশ’জন। পরবর্তীতে তারা আইডিইএ কাজ
শুরু করেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে তাদের
চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দেয়া হয়। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ
হওয়ার কথা ছিল এ প্রকল্পের মেয়াদ। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে করা আরডিপিপিতে (প্রকল্পের
জন্য সংশোধিত প্রস্তাব) টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের ‘সহকারী প্রোগ্রামার’ ও টেকনিক্যাল সাপোর্টদের ‘ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার’ পদমর্যাদার গ্রেড প্রদানের দাবি করেন তারা।
ইসির কয়েকজন
কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রকল্পের এ কর্মকর্তাদের
এনআইডিতে রাখা প্রয়োজন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্মার্টকার্ড ও এনআইডি
সংশাধনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের লাগবে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই অসন্তোষ রয়েছে। এ নিয়ে তারা সিইসি ও ইসি
সচিবের সঙ্গে দেখা করে দাবির কথা জানিয়ে ছিলেন। তখন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন এনআইডি ডিজি।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: