স্টাফ
রিপোর্টার॥ চরমোনাইর
আমীর সৈয়দ
মুহম্মদ রেজাউল
করিম সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যায্য সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায়
গতকাল চরমোনাই’র সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মুহম্মদ এছাহাক’র ছেলে
সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস বাদী হয়ে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের
করেন। মামলা নং-২২৮/২০১৮। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে
দেন।
মামলায়
অন্যান্য বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন,
চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মুহম্মদ এছাহাক’র ছেলে
সৈয়দ মুহম্মদ মোবারক
করিম, চরমোনাইর
সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মুহম্মদ
ফজলুল করিমের ছেলে বর্তমান পীর সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল
করিম তার ভাই সৈয়দ মুহম্মদ
মমতাজুল করিম মোস্তাক, সৈয়দ মুহম্মদ মোছাদ্দেক
বিল্লাহ্, ইসলামি
আন্দোলনের নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহম্মদ
ফাইজুল করিম,
সৈয়দ মুহম্মদ
জিয়াউল করিম,
চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল খায়ের মুহম্মদ ইসহাক, সৈয়দ
নুরুল করিম ও সৈয়দা আফিফা খাতুন সহ ৩৩ জন। আদালতের বরাত দিয়ে আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, বরিশাল
সদর উপজেলার জে.এল ৯২নং মৌজায় চরমোনাই বিভিন্ন খতিয়ান ও দাগে বাদীর ২.৬৫ একর জমি বন্টন
নিয়ে বিবাদী ঘুরতে থাকে।
পরে জমির
কথা অস্বীকার করায় আদালতে বন্টন মামলা দায়ের করেন চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মুহম্মদ এছাহাক’র ছেলে
সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস। মামলার নথিসূত্রে প্রকাশ, বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত জে. এল. ৯২নং
চরমোনাই মৌজায় এস. এ. রেকর্ডীয় সৈয়দ মুহম্মদ
এছহাক তার জীবনামলে তিন বিবাহ
করেন। ১ম স্ত্রীর গর্ভে এবং সৈয়দ মুহম্মদ
এছাহাকের ঔরষে ২ ছেলে সৈয়দ মুহম্মদ মোবারক
করিম, সৈয়দ
মুহম্মদ ফজলুল
করিম এবং ৩ কন্যা সৈয়দা মুসাম্মত
আনোয়ারা বেগম,
সৈয়দা মুসাম্মত
নুরজাহান বেগম,
সৈয়দা মুসাম্মত
মমতাজ বেগম জন্মগ্রহণ করেন।
সৈয়দ
ফজলুল করিম ইন্তেকাল করলে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা আনোয়ারা বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা
মোসাঃ নুরজাহান বেগমের লোকান্তরে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা মুসাম্মত মমতাজ
বেগমের লোকান্তরে ৬ জন ওয়ারিশ থাকেন। সৈয়দ মুহম্মদ
এছহাকের ২য় স্ত্রী ছালেহা খাতুনের গর্ভে এবং সৈয়দ মুহম্মদ এছহাকের
ঔরষে ২ কন্যা মুসাম্মত হুরুন্নেছা
বেগম এবং মোসাঃ সৈয়দা মনিরুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মুসাম্মত হুরুন্নেছা
বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ থাকেন। সৈয়দ মুহম্মদ
এছহাকের ৩য় স্ত্রী আমেনা বেগমের গর্ভে এবং সৈয়দ মুহম্মদ এছহাকের
ঔরষে ৩ পুত্র ১ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। উল্লেখিত মতে বাদী সৈয়দ মুহম্মদ এছহাকের
পুত্র হিসাবে বিরোধপূর্ণ জমিতে ২.৬৫ একর ভূমিতে স্বত্ববান মালিক দখিলকার বিদ্যমান থাকেন।
এই ২.৬৫ একর ভূমি নিয়েই বিরোধ। বিভাজ্য ভূমির পরিমাণ ২৬.২৪ একর।
যার মধ্যে
বিরোধীয় ভূমির পরিমাণ ২.৬৫ একর। বিরোধীয় ভূমি এযাবৎকাল আদালতের মাধ্যমে বন্টন হয়নি।
এ নিয়ে নিয়মিত বিবাদ সৃষ্টি হলে ভূমি আপোষে বন্টন করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ঘুরিয়ে অবশেষে
গত ৬ জুলাইয়ের পরে
জমির কথা অস্বীকার করায় এই মামলাটি দায়ের
করা হয়।
খবর বিভাগঃ
আইন আদালত
বরিশাল বিভাগ
0 facebook: