আন্তর্জাকিত ডেস্ক মালদ্বীপের নাগরিকরা কয়েকদিন ধরেই ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সোমবার রাত থেকে সে শঙ্কা আরও বেশী করে দানা বেঁধেছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট ও সরকারের দ্বন্দ্বের জেরে জরুরি অবস্থা জারির পরপরই ধরপাকড় শুরু করেছে সেনা-পুলিশ।
জরুরি অবস্থা আইনও আরও কঠোর করা হয়েছে। কে সরকারি আমলা, কে বেসামরিক নাগরিক কোনো বাছবিচার করছে না সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতিসহ বহু প্রভাবশালীকে আটক করেছে সেনারা। ভয়-আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষও। রাত হলে সে আতঙ্ক আরও জেঁকে বসছে। রাতে সাধারণ মানুষ এখন আর তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। কর্মস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় একে-অপরকে ‘ভালো থাকিস’, কাল আবার দেখা হবে তো? বলে বিদায় দিচ্ছেন। ভয়-দ্বন্দ্বে জাতি জড়সড়।
১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারির পর সেনাবাহিনী একটু বাড়তি ক্ষমতা পেয়ে গেছে। সোমবার বিকালে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও জনগণের চলাফেরা, চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর জরুরি অবস্থার কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আসলে তেমনটা হচ্ছে না। জনগণের চলাফেরায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সেনা-পুলিশের বুটের আওয়াজ তাদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। রাতে নিজ এলাকায় ঘোরাঘুরিতেও ভয় পাচ্ছেন নাগরিকরা। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডার সেই পরিবেশ আর নেই।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি আইন আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। স্থানীয় পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে, আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেফতার হওয়াদের অধিকার সীমিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের এমন অবস্থানে বিরোধী দলসহ আমজনতার মধ্যেও ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যে আইনজীবীর সাহায্য পাওয়া ছাড়া আর কোনো অধিকার পাবেন না আটকরা। সংশোধিত আইন অনুযায়ী গ্রেফতারকৃতদের আটকের কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: