![]() |
এলাকাবাসী ও
মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই কিশোরী
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামে তার এক বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে।
শনিবার বিকেলে
নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কংশুর যাওয়ার জন্য রাজৈরের টেকেরহাট বন্দরে বাসের জন্য
অপেক্ষা করছিল। এ সময় বোনের পাশের বাড়ির
পরিচিত ট্রাকচালক ওবায়দুল শেখ (৩২) ট্রাক নিয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলো। ওই ট্রাক চালক পথে ওই কিশোরীকে
দেখে ট্রাক থামায়। এসময় কিশোরীকে তার গন্তব্যে পৌছে দেয়ার কথা বলে ট্রাকে ওঠায়।
পরে ট্রাক চালক
মোবাইলে তার দু’সহযোগী শাকিল মাতুব্বর (১৮) ও
মিকাঈল শেখকে (১৮) খবর দিয়ে আনে। ট্রাক চালক ওবাইদুর শেখ কৌশলে ট্রাক নিয়ে গোপালগঞ্জ না গিয়ে বিভিন্ন এলাকা
ঘুরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পুনরায় টেকেরহাট বন্দরে ফিরে আসে।
পরে
টেকেরেহাটের স্থানীয় কবীর মাঠে নিয়ে ট্রাক চালক ওবাইদুর শেখ ও তার সহযোগীরা মিলে
পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে তারা মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরী বোনের বাড়িতে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে বিষয়টি
গোপন রাখলেও পরে এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে।
নাম না প্রকাশে
স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষকরা একই এলাকার ও পরিচিত
হওয়ায় একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রবিবার দিবাগত রাতে খালিয়া
গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। এ সময় খবর পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ সালিশস্থল থেকে
খালিয়া গ্রামের আকুবালি শেখের ছেলে ট্রাক চালক ওবাইদুল, তার সহযোগী একই গ্রামের রুহুল আমীন মাতুব্বরের ছেলে শাকিল মাতুব্বর ও খলিল
শেখের ছেলে মিকাঈল শেখকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
রাজৈর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে একটি
মামলা করেছেন। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য
ভিকটিমকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
ধর্ষণ
0 facebook: