আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক
রাজনীতিতে বৃহৎ শক্তিগুলো পরস্পরকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে
অস্থিরতা ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। এ যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছে
রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের
নানাভাবে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
সিরিয়ায়
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে
সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার
জন্য সিরিয়াকে কড়া জবাব দেয়া হবে।-খবর বিবিসি অনলাইনের।
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সর্বশেষ এই টুইটে বলেছেন- 'রাশিয়া প্রস্তুত হও'। কারণ যে মিসাইল আসবে তা হবে 'সুন্দর, নতুন ও স্মার্ট।' এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন হচ্ছে-
পৃথিবী কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক লিনা খাতিব বলেছেন, সিরিয়ার সংঘাত এরই মধ্যে বৈশ্বিক রূপ লাভ করেছে।
অন্যদিকে
আমেরিকার কাছে উত্তর কোরিয়াও একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের
গবেষক স্টিভ স্যাং মনে করেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক
সক্ষমতা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মস্কোর ইন্সটিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজের গবেষক সার্গেই ম্যারকভ বলছেন,
পশ্চিমা নেতারা নিজেদের রাশিয়ার চেয়ে শক্তিশালী মনে করে। পৃথিবীতে এখন নানা ধরনের দ্বন্দ্ব কিংবা সংঘাত চলছে
এবং এর সঙ্গে নানা দেশ জড়িত।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক
বিশ্লেষক লিনা খাতিব বলেন, এক ধরনের শীতলযুদ্ধ এরই মধ্যে
শুরু হয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়া ও
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক শশাঙ্ক জোসি বলেন, এর সঙ্গে আরও একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেটি হচ্ছে- পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলো এখন যারা
পরিচালনা করছেন, তারা সবাই জাতীয়তাবাদী। সে জন্য যে কোনো সংকটের ক্ষেত্রে তারা পিছ পা হতে
চাইছেন না।
এমন
প্রেক্ষাপটে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি কি রয়েছে? মস্কোর ইন্সটিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজের গবেষক সার্গেই ম্যারকভ মনে করেন,
যদি রাশিয়ার কোনো সৈন্যকে আমেরিকা হত্যা করে, তা হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে পারে।
লিনা খাতিব মনে
করেন, যদি বৃহৎ শক্তিগুলোর পরস্পরের মাঝে যোগাযোগব্যবস্থা
বন্ধ হয়ে যায় এবং পরস্পরের স্যাটেলাইটে সাইবার আক্রমণ করে, তা হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কারণ থাকতে পারে।লন্ডনের স্কুল
অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের গবেষক স্টিভ স্যাংয়ের মতে, কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আমেরিকা যদি তাদের সৈন্য প্রত্যাহার
করে নেয়, তা হলে সেটি হবে খুবই ভয়ঙ্কর একটি বার্তা। এর অর্থ হচ্ছে- সে অঞ্চলে একটি যুদ্ধের পরিস্থিতি
তৈরি হতে পারে। যদিও উত্তেজনা
বাড়ছে কিন্তু একই সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অনেকেই কাজ করছেন।
পৃথিবীজুড়ে
যেসব শান্তিকামী নাগরিক সমাজ আছে তারা সরকারগুলোর ওপর চাপ তৈরি করছে, যাতে তারা সংঘাতে না জড়িয়ে পড়ে। শশাঙ্ক জোসির মতে, জাতিসংঘ এবং
অন্যন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
যে কোনো ধরনের
বড় যুদ্ধ থামানোর জন্য জাতিসংঘ একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জোসি মনে করেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: