![]() |
ফাইল ছবি |
তিনি দৃঢ়
প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের
সঙ্গে কথা হয়েছে। বিদেশে পলাতক তারেক রহমানকে দেশে আসতেই হবে। সোমবার সকালে আট দিনের সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য সফর
শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গণভবনে
অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী
লেখালেখির মাধ্যমে সব অপপ্রচারের জবাব দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু
পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি। আজকে এই ভাষণ আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি পেয়েছে। দলের নেতাদের লেখালেখির মাধ্যমে অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফলে
আজকে সবাই এক ধরনের সাংবাদিক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
উদ্দেশে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেন, বিএনপির একজন আইনজীবী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপি ক্ষমতায় এলে জাতির পিতার
নাম মুছে ফেলা হবে বলে জানান। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে সবাইকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী
গণভবনে আসার আগেই তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর
রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন,
সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি-বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।
গণভবনে দলীয়
নেতারা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদকে
পরিচয় করিয়ে দেন। আবু সাঈদ আল মাহমুদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিস্ময়সূচক প্রশ্নের জবাবে
নেতারা বলেন, আপা, সবাই তো দেশের বাইরে।
তখন শেখ হাসিনা
জানতে চান, একজন জয়েন্ট সেক্রেটারিও দেশে নাই? এ সময় নেতারা ‘না’ সূচক জবাব দিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ও সেজন্যই তুমি! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ
আল সৌদের আমন্ত্রণে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল-জুবাইলে ‘গাল্ফ শিল্ড-১’ শীর্ষক একটি যৌথ সামরিক মহড়ার
সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দিতে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সৌদি আরব সফর করেন।
সফরের দ্বিতীয়
পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ১৬ এপ্রিল লন্ডনে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে
যোগদান করেন। ১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা লন্ডনে
কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
থেরেসা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বাকিংহাম
প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে অংশ নেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া
স্কটল্যান্ড কিউসির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। শেখ হাসিনা ওয়েস্ট মিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ক্ষমতায়নে শিক্ষা : কমনওয়েলথ দেশগুলোতে মেয়েদের জন্য সমমাত্রিক
ও গুণগত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক কমনওয়েলথ ওম্যান ফোরামের অধিবেশনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী
একই দিন যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা থিংকট্যাংক ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (ওডিআই)
আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এশীয় নেতাদের ‘এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিকাশ কি অব্যাহত রাখা সম্ভব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত
নৈশভোজেও তিনি যোগ দেন। ২৫তম কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের
বৈঠকের ফাঁকে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠক করেন। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য তাকে দেয়া
আওয়ামী লীগ লন্ডন শাখার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
0 facebook: