![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ গাজীপুর ও
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা আজ (মঙ্গলবার) থেকে প্রচারণায় নামছেন। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ায় আজ
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপরই সিটি নির্বাচনের আইন অনুযায়ী ভোটের ২১দিন আগে
থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করবেন। যদিও নিয়ম ভঙ্গ করে অনেকে আগে থেকেই প্রচারণা শুরু
করেছেন অনেকে। তবে শেষ মুহূর্তে সামালেচনার
মুখে আচরণ বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় আওয়ামী লীগ চাইলেও মন্ত্রী বা এমপিরা প্রচারে
অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন
(ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের
ভোট। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যদের
প্রচারণায় সুযোগ দেয়ার জন্য আচরণবিধি সংশোধণের সুপারিশ করেছিল। সে অনুযায়ী আচরণ বিধিমালায় হাত
দিলেও তা সংশোধন না হওয়ায় এমপিরা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে জানতে
চাইলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, যেহেতু এখন পর্যন্ত আচরণ বিধিমালা সংশোধন হয়নি, তাই মন্ত্রী বা এমপিরা প্রচার চালাতে পারবেন না।
জানতে চাইলে
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনূচ আলী বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হবে। আচরণ বিধি যাতে মেনে মনোনীত প্রার্থীরা তাদের উপর
অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন সে জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কারণ আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হলে কেউ
ছাড় পাবে না।
এদিকে আওয়ামী
লীগ ও বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থাকায় দু’সিটির নির্বাচনী পালে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। অন্যান্য দলের প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থাকলেও নৌকা
এবং ধানের শীষের মধ্যে হবে মূল লড়াই। ইতোমধ্যে বিএনপির প্রার্থীদের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সেনা মোতায়েনের
দাবি জানিয়েছে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। শুরু হয়েছে কথার লড়াই।
ইসির
কর্মকর্তারা জানান, দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় আচরণ
বিধিমালা প্রতিপালন করে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন কি না- তা দেখতে অতিরিক্ত
ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। কেউ বিধিমালা লঙ্ঘন করে প্রচার চালালে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
বা উভয়দণ্ড দিতে পারবেন। আর রাজনৈতিক দল বিধি লঙ্ঘন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আর কমিশন আচরণ বিধিমালা
লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে। পাশাপাশি কমিশনও প্রচার কার্যক্রম নজরদারি করবে। কমিশন কর্মকর্তারা মনে করেন,
প্রচারের শুরুর দিন থেকেই বোঝা যাবে আগামী দিনের পরিস্থিতি
কেমন হবে।
তারা আরও জানান,
প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন। প্রার্থীরা কোনো প্রতিষ্ঠানে
চাঁদা বা অনুদান দিতে পারবেন না। সার্কিট হাউজ, ডাকবাংলোসহ সরকারি স্থাপনা
প্রচার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। পথসভা বা ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। পোস্টার ও লিফলেট নির্দিষ্ট
আকারের হতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। প্রত্যেক প্রার্থীকে এসব নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা
মেনে চলতে হবে।
গাজীপুর সিটি :
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩৬ প্রার্থী
তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে দুইজন মেয়র প্রার্থী, ৩১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৩জন
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এখন মেয়র পদে ৭ জন, ৫৭টি সাধারণ
ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৫৬জন ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গাজীপুর সিটি
করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেন, এ সিটিতে মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের মো. জাহাঙ্গীর
আলম, ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার,
ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ
আহমদ।
খুলনা সিটি : সোমবার
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষে এ সিটিতে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত
লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন
কাউন্সিলর এবং চারটি সংরক্ষিত আসনে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেয়র পদে যে
পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক,
বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এবং বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু।
0 facebook: