প্রখর মেধাবীর অধিকারী আতিক যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী মো. ইকবাল হোসেনের একমাত্র সন্তান। আতিকের মা আছিয়া ইকবাল জানান, আতিকের ৬-৭ মাস বয়স হওয়ার পর খেলনাসামগ্রী এনে দিলে সেদিকে ফিরে তাকাত না সে। এতে সন্দেহ হয় তাদের। এরপর দেশের বিভিন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে নেয়া হলেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ছেলেকে ভারতের চেন্নাই শংকর নেত্রালয়ে নেয়া হয়।
তিনি জানান, সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় আতিকের চোখের রেটিনার একটি শিরা অকেজো। এর কোনো চিকিৎসা নেই। আতিকের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মা আছিয়া লক্ষ করেন আতিকের মধ্যে রয়েছে প্রখর মেধা। মাত্র ৫ বছর বয়সে মনিরামপুরের হাসাডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন তিনি।
সেখানে শুনে সব মুখস্থ করতে পারত আতিক। বাবা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর আতিককে নিয়ে খুলনা শহরে বাবার বাড়িতে আসার পর একটি অন্ধ মাদ্রাসায় ভর্তির পাশাপাশি স্থানীয় গোয়ালখালি অন্ধ স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয় অতিককে।
সেখানে ক্লাসে ভালো ফলাফল করত আতিক। কিন্তু একই সঙ্গে মাদ্রাসা ও স্কুলে পড়ালেখা করায় পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ বছর বয়সে আতিককে খুলনা দারুল মোকাররম মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সেখানে মাত্র ২ বছর ১ মাস বয়সে কোরআনের হাফেজ হয় আতিক।
খুলনা দারুল মোকাররম মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, আতিক প্রখর মেধার অধিকারী। তিনি একবার পড়তেন আর তা শুনেই আয়ত্ত করে ফেলত আতিক। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আতিক একাধিক পুরস্কার লাভ করেছে বলেও জানান শিক্ষক।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: