স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ঘোষণার পরও সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখন
পর্যন্ত জারি না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি
প্রত্যাশীরা।
প্রজ্ঞাপন
জারির দাবিতে তাদের দেয়া দ্বিতীয় দফার আল্টিমেটাম সোমবার শেষ হয়েছে। এদিকে কোটার প্রজ্ঞাপন জারি
নিয়ে অগ্রগতি নেই বলে সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তাই মঙ্গলবার (৮ মে) থেকে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার কথা
ভাবছেন তারা।
বাংলাদেশ
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলছিলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই কোটা বাতিলের
প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আমাদের এমন আশ্বাসও দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
কবির নানক। তাই আমরা আমাদের আন্দোলন
স্থগিতের সময়ও বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হওয়া এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের
দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আবারও আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাবছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ
সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হবে।’ গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় নিজেদের চলমান আন্দোলন
স্থগিত করেছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে গঠিত প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র
অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এরপর দ্রুত
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তোলেন তারা। এই দাবিতে আন্দোলনে নামেন আন্দোলনকারীরা। কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দেয়া ঘোষণা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রথম দফার আল্টিমেটাম ২৬ এপ্রিল
দিয়েছিলেন তারা। এই সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ১ মে থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা
দিয়েছিলেন তারা। এমন অবস্থায় ২৭ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের
সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক
সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে ৭ মে পর্যন্ত
আল্টিমেটামের সময় বৃদ্ধি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এই সময় আজ শেষ হলো। সোমবার (৭ মে) দুপুরে
মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল
আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘না, বৈঠক হয়নি।’ তবে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির
প্রক্রিয়াটা কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জনপ্রশাসন থেকে একটা প্রজ্ঞাপন
(কমিটি গঠনের) জারি হলে আমাদের কাছে আসবে, আমরা তখন কমিটি নিয়ে বসব।’
কতদিনের মধ্যে
সেই কমিটি হবে তার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রজ্ঞাপন শিগগিরই জারি হবে কি-না
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে ছিলেন। কাজেই ওই বিষয়ে খুব বেশি কাজ এগোয়নি। আমরা এখনও প্রধানমন্ত্রীর কোনো
অনুশাসন বা নির্দেশনা পাইনি।’
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: