স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে করা দুটি এবং নড়াইলের মানহানির অপর একটিসহ মোট তিন মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে আজ। এর ওপর আগামীকাল (সোমবার) আদেশের জন্য ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গত ২৪ মে কুমিল্লার হত্যা মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। আর আজ বাকি দুই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার তিনটি মামলাই আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, বদরোদ্দোজা বাদল, শাহজাহান ওমর, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, মীর মো. নাসির, কামরুল ইসলাম সজল, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মো. বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানা।
মামলা তিনটি হাইকোর্টের রোববারের কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল। সকালে খালেদার জিয়ার আইনজীবীরা শুনানি করতে গেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন করেন। সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বেলা ২টার পর ফের শুনানির সময় ঠিক করেন। দুপুরে শুনানি শেষে আদালত আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গত বৃহস্পতিবার (২৪ মে) শেষ হয়। আজ রোববার এ মামলায় জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেয়ার দিন ধার্য ছিল। এছাড়া কুমিল্লায় অপর একটি নাশকতার মামলা এবং নড়াইলে মানহানির মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ ও ২৩ মে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন।
এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে এই তিন মামলায় ২০ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। পরদিন ২১ মে এই তিন মামলার মধ্যে দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সময় চান। পরে আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনদিন কুমিল্লায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিষয়ে দুই পক্ষ শুনানি করে। আজ কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও নড়াইলে মানহানির মামলার শুনানি শেষ হয়।
গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য এসব মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পাশাপাশি ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে আদালত ইতোমধ্যেই হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।
0 facebook: