24 January 2018

সোনালী আঁশ পাঁটের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করতে চায় সাম্রাজ্যবাদীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্প ধ্বংসের নেপথ্যে কাজ করছে সাম্রাজ্যবাদীদের লালায়িত কিছু এনজিও ও কিছু দালালএদের মধ্যে পরিবেশবাদীরা অন্যতম

অনেকে ভাবতে পারেন, চামড়া শিল্পের ক্ষতি হলে এমন কি আসে যায়? কিন্তু নাআমাদের দেশে পাট শিল্প যেমন একসময় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতো তেমনি চামড়া শিল্প তার চেয়ে কম নয়কিন্তু পরিতাপের বিষয় সোনালী আঁশ পাঁটের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করতে চায় সাম্রাজ্যবাদীরা

বর্তমান বিশ্বে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার এখন ২১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের৷ বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারের মাত্র শতকরা ০.৫ ভাগ রপ্তানি করে৷ তবে সরকারের সহযোগীতা পেলে বাংলাদেশ চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পারে

চীনের চামড়া শিল্প নিয়ে এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২-১৩ সালে চীনে চামড়ার তৈরি জুতা শিল্পের উৎপাদন ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে৷ তাই বিশ্বে চীনের ছেড়ে দেওয়া জুতার বাজারের অংশটি ধরতে চাইছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা৷ কিন্তু এটি মেনে নিতে পারেনি মুসলমানদের প্রধান শত্রু সন্ত্রাসবাদী ইহুদীরা তথা সাম্রাজ্যবাদীরাবাংলাদেশ যেন বিশ্ব বাজারে চামড়াজাত পন্যের বাজারে দখল নিতে না পারে এজন্য তারা পরিবেশবাদী কিছু সংস্থাসহ বেশ কিছু কুকুর লাগিয়ে দেয় ট্যানারি শিল্প ধ্বংস করার মিশনেপ্ল্যান অনুযায়ী পরিবেশবাদীরা পরিবেশ বাঁচানোর অযুহাতে তারা দেশের প্রধান চামড়া প্রকৃয়াকারী অঞ্চল হাজারিবাগের ট্যানারি শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ করতে বাধ্য করেহাইকোর্টের মাধ্যমে বার বার আলটিমেটাম দিয়ে কারখানাগুলোর গ্যাস-বিদ্যুৎ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়

এখন সাভারের স্থানান্তরিত নতুন চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণে ক্রটির কথা স্বীকার করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক

বিসিক চেয়ারম্যান বলছেন, 'একটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তি আমাদের বিপদে ফেলেছেনএদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন'

আসলে শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বিসিক চেয়ারম্যানসহ, কোর্টে টাকা খেয়ে বারবার রিট উত্থাপনকারী আইনজীবীদের এবং এরসাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও এনজিও দালালদেরসেই সাথে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত


শেয়ার করুন

0 facebook: