স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ‘যেখানে মাদক, সেখানে অবৈধ টাকা ও অস্ত্র থাকে। সেখানে অভিযান চালাতে গেলে ফায়ারিং হবেই।'
শনিবার রাজধানীর বিআইআইএসএস অডিটরিয়ামে ‘মাদকবিরোধী অভিযান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আলোচনায় সমাজের বিভিন্ন পেশার বক্তারা চলমান মাদকবিরোধী অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান শুরুর পর অনেকে আমাকে ফোন করে প্রশংসা করেন। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ক্রসফায়ারে দেয়ার আহ্বান জানান। তবে এই অভিযানে শুধু যে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে তা না। আমাদের কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার। বর্তমানে সেখানে ৮৬ হাজার ৩৩৯ বন্দী রয়েছেন, যার ৩৯% মাদকের সঙ্গে জড়িত। অভিযানে অনেককে গ্রেফতার করে মামলা ও সাজা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, অভিযানে কাউকে হত্যার উদ্দেশ্য নেই। বিএনপিকে কোণঠাসা করাও উদ্দেশ্য না। দেশ, মেধা ও তরুণ সমাজকে বাঁচাতে এই অভিযান।
মাদক আইনের সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের আইনে সীসাকে মাদক হিসেবে ধরা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে ক্লাব রেস্টুরেন্টগুলোতে তরুণরা গিয়ে সিসা টানছে। অনেকসময় ভেতরে হিরোইনের গুঁড়া দিচ্ছে। এই ভয়াবহতার কারণে আইন সংস্কার করে সিসাকে মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশে ইয়াবার প্রবেশ বন্ধের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নাফ নদী অন্যতম একটি রুট হওয়ায় আমরা নাফে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করেছি। মিয়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করেছি। মিয়ানমার সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেও কাজ হয়নি।
স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি'কে আমি নিজে বলেছি, যে মিয়ানমারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়াবার ব্যবসায় হচ্ছে। আপনারা এসব বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মিয়ানমার সহযোগিতা করেনি।
অভিযানে টেকনাফের কাউন্সিলর একরাম নিহতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত চলছে, ভুল করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: