প্রতিকি ছবি |
মুফতি
মুহম্মদ আবুল খায়েরঃ দেশের প্রথম ঈদুল ফিতরের পবিত্র নামাযের জামায়াত অনুষ্টিত হবে
রাজারবাগ দরবার শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদে, রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সুন্নতী ওয়াক্ত মুতাবিক সকাল ৫ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইমামতি করবেন মুহম্মদিয়া
জামেয়া শরীফ মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর
রহমান (মাদ্দা জিল্লুহুল আলি)।
পবিত্র
কুরআন শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নিশ্চয়ই পবিত্র নামায নির্দিষ্ট সময়ে পড়া
মু’মিন
মুসলমানের উপর ফরয করা হয়েছে। আর পাঞ্জেগানা নামাযের ন্যায় পবিত্র ঈদের নামায কোন সময়
আদায় করতে হবে; সে
সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদের দিন ফজরের নামায পড়ে হুজরা শরীফ যেতেন এবং সকাল
সকাল গোসল করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন হলে বেজোড় সংখ্যক (৩, ৫ অথবা
৭টি) খোরমা খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যেতেন। আর পবিত্র ঈদুল আযহার দিন হলে কিছু না খেয়ে সরাসরি
ঈদগাহে যেতেন এবং পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র ঈদের নামায আদায়
করতেন। অতঃপর খুতবা মুবারক দিতেন ও নছীহত মুবারক করতেন।”
পবিত্র
হাদীছ শরীফের মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে হাযম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নজরানের
আমীর বা প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় চিঠি দিয়ে আদেশ মুবারক করেন যে, পবিত্র
ঈদুল আযহার নামায খুব সকাল সকাল পড়বেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামায ঈদুল আযহার চেয়ে
অল্প একটু দেরিতে পড়বেন এবং নামাযের পরে মানুষকে নছীহত করবেন।’
সূর্য
পূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর অর্থাৎ মাকরূহ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে অথবা সূর্য উদয়ের
শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী ২৩ মিনিট পর পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর
যোহর নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্বপর্যন্ত পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত থাকে; তারপর
মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হয়। সেই মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে পবিত্র ঈদের নামায আদায়
করতে হবে। মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর পবিত্র ঈদের নামায আদায় করলে তা আদায় হবে না।
কাজেই পবিত্র ঈদের নামায সকাল সকাল পড়া সুন্নত। পবিত্র ঈদের নামাযের সম্মানার্থে এবং
পবিত্র ঈদের নামায যাতে আদায়ে দেরি না হয়, সেজন্য পবিত্র ঈদের দিন ইশরাকসহ অন্যান্য
সকল নফল নামাযসহ সমস্ত নফল ইবাদত করা মাকরূহে তাহরিমী।
পবিত্র
হাদীছ শরীফের মধ্য ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি কোনো হক্কানী ওলীআল্লাহর পিছনে
নামায আদায় করলো, সে
যেন নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিছনে
নামায পড়লো। আর যে নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার পিছনে নামায আদায় করলো তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
রাজারবাগ
শরীফের পক্ষ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে উক্ত জামায়াতে শামিল হওয়ার জন্য আহবান জানানো
হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
Khub Valo
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল পড়ে
ReplyDelete