28 June 2018

ট্রেনে অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ দেশের প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি, সময়মতো ট্রেন না আসা, ট্রেনের টয়লেট ও ওয়েটিং রুম নোংরা, ট্রেনের জমি দখল হয়ে যাওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরাতারা এ সব ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়মুক্ত ব্যয় ব্যতিত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে এ সব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, ‘‘সবচেয়ে গণমুখী পরিবহন হলো রেলওয়েএকটি ট্রেনে এক থেকে দুই হাজার লোক যাতায়াত করতে পারেনকিন্তু মাঝখানে আমরা এই রেল বাদ দিয়ে সড়ক পথে মনোযোগ দিয়েছিলামরেলওয়ের মতো নিরাপদ ভ্রমণ আবার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ থাকবে’’

নূরুল ইসলাম ওমর (বগুড়া-৬) বলেন, ‘‘আমি লক্ষ্য করেছি ১০টার ট্রেন রাত ১টায় আসেসেটা এখনো পরিবর্তন হয়নিপ্ল্যাটফর্মের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।  এনটেনডেন্সকে কোথায় থাকে, তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নাএ সব কারণে রেলওয়ে যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছেআমরা টিকিট পাই নাসিট নেইকেবিন নেইআমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের অপরাধটাও কী? আমাদের ওই লাইনে পুরাতন ট্রেন চলে৮/১০ বছর অন্য মন্ত্রীর এলাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম চলার পর ট্রেনগুলো আমাদের ওই লাইনে চলেএই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না’’

স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩) বলেন, ‘‘আমরা রেল নিয়ে যেটা দেখি, শুনি সেটা হলো- মানুষ টিকিট পায় না, ট্রেনের জানালা দিয়ে ওঠে, ছাদে ওঠেএ ব্যাপারে মন্ত্রীর নজর দেওয়া উচিতমন্ত্রী যদি প্রকল্পগুলো স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করেন, তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে’’

নারী আসনের রওশন আরা মান্নান বলেন, ডিজিটাল যুগে রেলওয়ের সব কিছু নতুন করে করতে হবেরেলের অনেক সম্পদ লুটপাট হয়ে যায়এটি বন্ধ করতে হবেএকটি দালাল চক্র সব সময় স্টেশনে হাঁটাচলা করেএদের শাস্তি দিতে হবেসিন্ডিকেট থেকে বের করতে পারলে রেল লাভজনক হবে

নূরুল ইসলাম মিলন (কুমিল্লা-৮) বলেন, রেলের টয়লেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খুব অভাবটয়লেট ও স্টেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা একান্তভাবে প্রয়োজনসময়মত ট্রেন ছাড়ে নাসেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে

সেলিম উদ্দিন (সিলেট-৫) বলেন, ট্রেনের টিকেট কিনতে চাইলে টিকিট পাওয়া যায় নাএকজনের নামে বরাদ্দ টিকেট অন্যজন নিয়ে যায়

আবদুল মুনিম চৌধুরী (হবিগঞ্জ-১) বলেন, ট্রেনের প্রথম শ্রেণীতে ওঠার পর দেখলাম ফ্যান চলে নাচারদিকে দুর্গন্ধএটা যদি প্রথম শ্রেণী হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যেখানে বসছে, সেটার কী অবস্থাতিনি বলেন, ট্রেনের চালকেরা অনেক জায়গায় থামিয়ে তেল বিক্রি করেএটা বন্ধ করতে হবে

এ সবের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি আমলে রেলপথকে একেবারে অবহেলা করে এটা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলএকদিনে ১৩ হাজার কর্মীকে গোল্ডেন হ্যান্ডসেক দেওয়া হয়েছিলরেলস্টেশন বন্ধ, রেলপথ বন্ধ করে রেলকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন খালেদা জিয়া সরকার

তিনি বলেন, অবিলম্বে রেলের প্রভূত উন্নয়ন ঘটবেরেল বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের কাতারে চলে যাবে


শেয়ার করুন

0 facebook: