স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হচ্ছেনা। গত বছরের হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা দিয়েই আগামী সংসদ
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। অক্টোবরের শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সে ঘোষণার আগেই যেন সকল ধরণের ভোটার তালিকা ও ভোটার
তালিকার সিডি প্রস্তুত থাকে সেজন্য নির্বাচন কমিশনারগণ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা
প্রদান করেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ৩২ তম
কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার সভায় অংশ নেন। সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সে ঘোষণার আগেই যেন সকল ধরণের ভোটার তালিকা ও ভোটার
তালিকার সিডি প্রস্তুত থাকে সেজন্য নির্বাচন কমিশনারগণ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা
প্রদান করেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।
এর আগে তফসিল
ঘোষণার সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার আগেই যেন ভোটার তালিকা ও
ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে। যেদিন তফসিলের উপযুক্ত সময়
সেদিনই তফসিল ঘোষণা করা হবে। এবছর আর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবেনা উল্লেখ করে সচিব বলেন, ২০১৮ সালের ভোটার তালিকা
হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে।
সর্বশেষ
হালনাগাদ ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা বিদেশে থাকে এবং যাদের ১৮
বছর পূর্ণ হয়েছে যখন কেউ ভোটার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আমরা তাকে ভোটার করে নিতে
পারি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমাদের আলাদাভাবে ভোটার
সংগ্রহের কোনো আয়োজন থাকবে না।
তফসিলের আগে
সম্পূরক তালিকা প্রকাশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা ভোটার তালিকার খসড়া
প্রকাশ করেছি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সিডি
তৈরির প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করি তফসিল ঘোষণার আগেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সচিব জানান, পহেলা মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস
পালনের জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা জাকজমকপূর্ণভাবে পালনের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা
দিয়েছে। এই দিবসটি উদযাপনের জন্য
বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে এই কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে।
সভায় হিজরা
জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে
বলে জানান ইসি সচিব। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যমান ভোটার তালিকায় তারা হয় পুরুষ না হয় নারী ভোটার
হিসেবে অন্তর্ভূক্ত আছে। এই মূহুর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব না, আলাদা করব না। তবে কেউ যদি আবেদন করেন তবে আমরা তাকে হিজরা ভোটার হিসেবে
অন্তর্ভূক্ত করব। তবে আগামী বছর যখন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে তখন থেকেই হিজরা জনগোষ্ঠীকে
তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করব।
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে ইভিএম
ব্যবহারের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। ইসি সচিব জানান, বরিশালে দশটি কেন্দ্রে, রাজশাহী ও সিলেটে দুটি কেন্দ্রে এবং কক্সবাজার
পৌরসভায় তিনটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়োগকৃত আনসার
সদস্যদেরকে দুইদিনের প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমেদ।
0 facebook: