স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ এ বছরের হজ্জ
ফ্লাইট শুরু হলেও এখনো প্রায় ৯৫ হাজার হজ্জযাত্রীর ভিসা হয়নি। এ ছাড়া বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রায় ২০ হাজার
টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। তবে ভাড়া করা বিমান দিয়ে হজ্জ ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে
বলে জানা গেছে।
গতকাল সকাল ৮টা
৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ১০১১ ফ্লাইট ৪১৯ জন হজ্জযাত্রীকে নিয়ে সৌদি আরবের
উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১১টা ৩ মিনিটে ফ্লাইটটি জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গতকাল বিমান ও সাউদিয়া এয়ার
লাইন্সে মোট তিন হাজার ৮২২ জন হজ্জযাত্রী সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
এ দিকে এ বছর
মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত ভিসা হয়েছে ৩১ হাজার
৪৭১ জন হজ্জযাত্রীর। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৩০২ জনের এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫
হাজার ১৬৯ জনের। এখনো ভিসা পেতে বাকি রয়েছে ৯৫ হাজার ৩২৭ জনের। তবে গতকাল পর্যন্ত ভিসার জন্য ডিও ইস্যু হয়েছে ৩৯ হাজার
৫৮৭ জনের। বেসরকারি হজ্জ এজেন্সিগুলো
সৌদিতে বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ফিস জমা দেয়ার পরও এনওসি পেতে দেরি হওয়ায় ভিসা পেতে
বিলম্ব হচ্ছে বলে হজ্জ-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি এখনো বাড়ি ভাড়া করতে মক্কা-মদিনায়
অবস্থান করছে বলে জানা যায়। একই কারণে হজ্জ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পরও এখনো প্রায় ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়নি
বলে বিমান সূত্রে জানা গেছে।
এ বছর
নিয়মানুযায়ী বিমান টিকিট কেনার পরই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে ফ্লাইট
বাতিল হলে পরে স্লট নেয়ার সুযোগ থাকলেও এ বছর সে সুযোগ নেই বলে সৌদি এভিয়েশন
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ জন্য বিমান বাংলাদেশ ও হজ্জ অফিস সবাইকে দ্রুত বিমানের টিকিট কেনার জন্য
তাগাদা দিচ্ছে। গতকালও হজ্জ অফিস এক
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নির্ধারিত ফ্লাইটের টিকিট না কেনার কারণে কোনো হজ্জযাত্রী
হজে যেতে না পারলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট হজ্জ এজেন্সিকে বহন করতে হবে।
এ ব্যাপারে
বেসরকারি হজ্জ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম নয়া
দিগন্তকে বলেন, অনেক এজেন্সি মালিক এখনো মদিনায় বাড়িভাড়ার জন্য রয়েছেন। তারা ফিরে আসার পর বিমান টিকিট সংগ্রহ করবেন ও ভিসার
জন্য আবেদন করবেন। তখন সঙ্কট কেটে যাবে।
এ দিকে এ বছর
হঠাৎ করেই সৌদি এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ভাড়া করা বিমানে হজ্জযাত্রী পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা
জারি করে। এতে সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি
হয়। তবে পরে কূটনৈতিক তৎপরতায় সে
সঙ্কট কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল
মেরাজ। নয়া দিগন্তকে তিনি বলেন, সৌদি এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ হঠাৎ
করে এ নির্দেশনা দেয়ায় আমরা কিছুটা বিপাকে পড়েছিলাম। তবে কূটনৈতিক তৎপরতার পর সৌদি কর্তৃপক্ষ সে
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফলে ভাড়া করা বিমানেই এ বছর হজ্জযাত্রী পাঠানো যাবে।
এ বছর মোট এক
লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্জযাত্রীর কোটা থাকলেও হজে যাবেন এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায়
কোটা সাত হাজার ১৯৮ জন হলে সে কোটা পূরণ না হওয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ছয়
হাজার ৭৯৮ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন
এক লাখ ২০ হাজার হজ্জযাত্রী। মোট ৫২৮টি বেসরকারি হজ্জ এজেন্সির মাধ্যমে এসব হজ্জযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ আগস্ট
পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য গতকাল থেকে হজ্জ ফ্লাইট শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। হজ্জ সম্পন্নের পর এসব হাজী ২৭
আগস্ট থেকে ফিরতে শুরু করবেন। ফিরতি ফ্লাইট চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: