![]() |
ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে থাকে,
তালিকাসহ তার প্রমাণ দিলে তিনি বিচার করবেন।
ধানমন্ডিতে আজ
সোমবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল
কাদের এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকের এক
প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি আমাকে
বলেন, ছাত্রলীগের কারা কারা জড়িত। আপনি আমাকে তালিকা দিন।’ সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের একটি পেপার কাটিং দেখান,
যেখানে দুজন যুবককে আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত
করেন। এর মধ্যে একজন ঢাকা কলেজ
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলায় এই লোকগুলোও তো জড়িত থাকতে পারে।’আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের
বলেন, এই মুহূর্তে কোনো আন্দোলনকারী নেই। এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যখনই মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উসকানিমূলক বক্তব্যকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন,
তখনই এটি দিবালোকের মতো সত্য হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে
বিএনপি নোংরা রাজনীতি করেছে। বিএনপি সরকার হটানোর আন্দোলন করছে, এটি এখন
পরিষ্কার।
সংবাদ সম্মেলনে
একটি ছবি দেখিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকালের যে আন্দোলন, এটি ছাত্রছাত্রীদের ছিল না। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর
আহ্বানে সারা দেশে সিক্রেটলি (গোপনে) প্রচার হয়েছে। এ কারণে সারা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা
ঢাকায় আসে। ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনে গতি
পাচ্ছে না, তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছে। শিবির-ছাত্রদলের ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে শাহবাগ থেকে
সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত, পরে সায়েন্স ল্যাব থেকে বিজিবি
গেটে আসে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে হামলা করা।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, আমি বিশ্বাস করি না সাধারণ শিক্ষার্থীরা অস্ত্র নিয়ে
রাস্তায় নেমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। শিক্ষার্থীদের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করার কোনো
এজেন্ডা নেই। যারা এই আন্দোলনের ওপর ভর
করেছে, তাদের এজেন্ডা ছিল এটি।
প্রস্তাবিত সড়ক
পরিবহন আইন বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনটি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত হবে, সেখান থেকে
যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করা
হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি
হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির যে কথা বলা হয়েছে, সেটি অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, পেনাল কোডের ৩০২
ধারা মোতাবেক মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকবে। কেউ যদি হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্ঘটনা ঘটান এবং সেটি তদন্তে
প্রমাণিত হয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর হবে। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে
দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ৩০২ ধারার বিধান প্রযোজ্য হতে পারে বলেও
জানান তিনি।
সড়ক
পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী
নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের বিআরটিএর প্রতিষ্ঠানগুলোয় লাইসেন্স
প্রদান ও নবায়ন, গাড়ির ফিটনেস প্রদান ও নবায়ন
কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সড়ক পরিবহন
ও সেতু মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও
সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও
গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, শ্রমবিষয়ক
সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার
উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশবিষয়ক
সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া
প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ।
0 facebook: