আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত ২২ শিশু ও ৪ নারী নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। হুদায়দাহ শহরে বৃহস্পতিবার প্রথম হামলার পর প্রাণে বাঁচতে তারা একটি বাসে উঠে আল-দুরহায়মি জেলা ত্যাগের সময় বাসটিকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয়বার হামলা চালানো হয়। একই দিনে অপর এক হামলায় আরও ৪ শিশু নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান মার্ক লোকক।
বাসে হামলা চালিয়ে ৪০ শিশু হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যে এই শিশু হত্যার ঘটনা ঘটলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এসব খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
শুক্রবার দেওয়া লোককের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার হামলার শিকার হওয়ারা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বন্দর নগরী হুদায়দাহর সহিংসতা এড়ানোর চেষ্টা করছিল। এই হামলার একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। মানবাধিকার গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একইদিনে দেওয়া অপর একি বিবৃতিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চালানোর ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে।
বৃহস্পতিবারের হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে গত জুনে হুদায়দাহ পুনর্দখলে হামলা জোরালো করে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই শহরে থাকা বন্দর দিয়েই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে বেশিরভাগ ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: