ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটের।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়িতে, পুলিশকর্মীরা এক মহিলাকে মারধর করছেন। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনের আসনে বসে থাকা পুলিশকর্মী ভিডিওটি করেছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মহিলা বসে রয়েছেন, এক পুরুষ এবং এক মহিলা কনস্টেবলের মধ্যে। ছবি তোলা পুলিশকর্মী, ছবিটি সহকর্মীদের দেন। সেখান থেকে ছবিটি আসে সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
এক পুলিশকর্মীর প্রশ্ন, আশপাশে এত হিন্দু থাকতে, কেন তিনি এক মুসলিমকে বেছে নিলেন। এই সময় পাশে থাকা মহিলা পুলিশকর্মী ওই ছাত্রীকে মারধর শুরু করে দেন। ছাত্রীর মুখে থাকা কাপড়ও সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী।
মেডিক্যালের ছাত্রীটির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারই সহপাঠী এক মুসলিম ছাত্রের। একদল কট্টরপন্থী এদের টার্গেট করে। কট্টরপন্থীরা বিশ্বহিন্দু পরিষদের বলেই জানা গেছে। কট্টরপন্থীরা ওই ছাত্রের বাড়িতে হামলা চালায়। দুজনকে হেনস্থার পর ছাত্রীকে তারা তুলে দেয় পুলিশের হাতে।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে ঘটনাটি লাভ জিহাদের বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মিরাটের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা কুমার রণবিজয় সিং জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীটি কি করছে তা নিয়ে পুলিশের মাথা গলানো উচিত হয়নি। তাই ঘটনায় যুক্ত চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোনো হামলাকারীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষ থেকে এখনো পুলিশে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সূত্রঃ ওয়ান ইন্ডিয়া
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: