21 October 2018

প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারেঃ তথ্যমন্ত্রী


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উগ্রবাদের হুমকি ডিজিটাল সমাজে ছড়িয়ে পড়েছেএ সমস্যা মোকবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবেএর বিরুদ্ধে লড়তে সরকার ও সংবাদমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

তিনি বলেন, যেকোনো আইন পরীক্ষা করা যায়, সংশোধন করা যায়প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারে

তিনি ডিজিটাল দুনিয়ায় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তাররোধে সংবাদমাধ্যমকে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান

রোববার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানানঅনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হকের সভাপতিত্বে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সেতারা মুসা, সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বলে আসছে, সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকাতেও সহায়ক হবেচলতি মাসের শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন প্রতিটি দেশেই বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছেজঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের অপরাধের বিস্তার ঘটছে জিডিটাল মাধ্যমেসেসব মাথায় রেখেই সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে

তবে ওই আইনের আটটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছেতাদের অভিযোগ, ওই ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থিতিনি বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে পারি, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য এ আইন করা হয়নি

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, অন্যান্য পেশার মত সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়লেও ব্যবধান যে এখনও অনেক বেশি১৯৮৭ সাল থেকে ৩০ বছরে বাংলাদেশে সংবাদকর্মীদের মধ্যে নারীদের হার ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে মাত্র ১৩ শতাংশ হয়েছেএই হারকে আগামী তিন বছরে ৩০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করার প্রস্তাব রাখলে তাতে সায় দেন তথ্যমন্ত্রী

তবে ওই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সবার আগে দক্ষতার উন্নয়ন প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেনতিনি বলেন, সংবাদ কক্ষে ও প্রতিবেদক হিসেবে নারীদের সংখ্যা বাড়াতে হলে দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানের কোনো বিকল্প নেইএক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণআর ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন আমরা খুব সহজেই নিজেদের শিক্ষিত বা প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারিবাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর পরিবেশ এখন আগের তুলনায় বেশি নারীবান্ধবনারীদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে এগিয়ে আসতে হবে

১১ বছর পর ১৭ বছরের পুরনো বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছেসারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেনবাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেতারা মূসা এ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হুইল চেয়ারে বসেবয়স ৮০ পেরুনো এই নারী সেই ১৯৫০র দশকে তার সাংবাদিকতার শুরুর দিনগুলোর কথা স্মরণ করেনঅনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, আগামী বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত


শেয়ার করুন

0 facebook: