25 October 2018

বিএনপির ৮ নেতার জামিন স্থগিত নিয়ে শুনানি পেছাল


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আট শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়েছেআগামী সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে

বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমবিএনপির নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন

অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, এসব মামলায় হাইকোর্টের আদেশ পেয়েছিআমরা এখন সিপি (লিভ টু আপিল) করবনট টু ‍ডে চাইএরপর আদালত সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেনএর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু ও বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেনর বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট আগাম জামিন দেন

বুধবার বিএনপি নেতারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেনএই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়েছেগত ১ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ

মামলায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকেও আসামি করা হয়েছে

মামলায় পুলিশ বলছে, বিএনপি কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেসেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেন

মামলায় বলা হয়, বিএনপির এসব নেতার এমন বক্তব্যের পর হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াত, ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী জড়ো হনতারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেনপুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করেকিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেনসেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করেনপ্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়মামলায় বলা হয়, ভাঙচুর করা গাড়িগুলো আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ায় গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ


শেয়ার করুন

0 facebook: