ফাইল ছবি |
গতকাল ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
‘দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এরপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় আসছে আরও চার ব্যাংক। এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় আমি ভেরি আনহ্যাপি (খুবই অখুশি)। এসব ব্যাংক খুব সত্বর মার্জার (একীভূত) শুরু হবে। নতুন ব্যাংক দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।’ তাহলে দেওয়া হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডে (রাজনৈতিক বিবেচনা) দেওয়া হচ্ছে।’ এর আগে একজন সাবেক মন্ত্রীকে ব্যাংক দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আবার একজন মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছেন। এতে নতুন করে খারাপ অভিজ্ঞতা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক মন্ত্রীই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এ জন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলেই একীভূতের কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে, তাহলে তাদেরকেও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাব।’
এদিকে শুরুতে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও চার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সবুজ সংকেত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের শেষ সময়ে অনুমোদন পাওয়া চারটি ব্যাংক হলো কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ, দ্য বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও দ্য সিটিজেন ব্যাংক।
পুলিশ সদস্যদের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি তিন ব্যাংকের কিছু কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।
এর আগেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯ ব্যাংকের অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সমালোচনা উপেক্ষা করেই গত ২৯ অক্টোবর গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন চার ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: