আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খেরবাড়ি নামে একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শ্যামলাল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবল দাস ও ধনঞ্জয় নমঃশূদ্র।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক পরে দুটি দলে ভাগ হয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল। তারা শ্যামলাল বিশ্বাসের দোকানের সামনেই প্রথম গুলি চালায়। হতাহত বাকিরা ওই দোকানের আশপাশেই ছিলেন। সন্ত্রাসীরা অন্তত ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে।
আসামের বাঙালি সংগঠনগুলো এ ঘটনার জন্য আলফা (স্বাধীন গোষ্ঠী) নামে একটি উগ্রপন্থী সংগঠনকে দায়ী করেছে। সারা আসাম বাঙালি ছাত্র-যুব ফেডারেশন আজ শুক্রবার ১২ ঘণ্টার জন্য তিনসুকিয়া বনধের ডাক দিয়েছে।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদ করা নিয়ে আসামে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছিল। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বাংলাভাষী আসামে বসবাস করতে শুরু করেছেন, তাঁদের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা আর আসামের নাগরিক নন।
এর মধ্যেই এই বাঙালি হত্যার ঘটনা ঘটল।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: