![]() |
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজত আমির শাইখুল হাদিস শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘তাবলিগ কার কথা মোতাবেক চলবে, কারা চালাবে? তিনজন মুরুব্বি— মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা এনামুল হাসান, মাওলানা ইউসুফ— যে উসুলে শরিয়াহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন ঠিক কেয়ামত পর্যন্ত ওই উসুলই চলবে। রাজি আছেন তো আপনারা? কোনও মাহফিলের মধ্যে কথা বললে এই তাবলিগের কথা একটু বলে দেবেন। আমরা অন্য কারও কথা মানি না। তাবলিগেও ওই তিনজন মুরুব্বীয়ানে কেরামের কথা মোতাবেক আমরা নিজেও তাবলিগ করবো।’
শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘আমরা আলেমের কথা মোতাবেক চলবো। যিনি কোনও আলেম না, কোনও আলেমের কাছে পড়েন নাই, উনি একটা মাযহাব বানিয়ে নিলে আপনারা মানবেন? কখনও মানবেন না। আলেমরা বাংলার সিংহ, তাদের কথা মোতাবেক চলবেন। প্রত্যেক জায়গায় অন্য কারও কথা মানবেন না। তাবলিগের এ কাজ ওলামাদের থেকে আসছে। এখনও তাবলিগের মুরুব্বি হবে এই ওলামা হজরত।’
হেফাজত আমির বলেন, ‘আর কেউ যদি এখানে নাক গলাইতে আসে তাদের মানবেন না। যারা আলেমদের কয়েকবার পিটিয়েছে, যারা তাবলিগের মাতব্বর সাজতেছে তারা আলেমদের পছন্দ করে না। আলেমদের, ছাত্রদের কয়েকবার মেরেছে, পিটিয়েছে। আমরা ওলামারা মার খেতে পারবো, এই মুফতিয়ানে কেরাম আমাদের গালি দিলে সহ্য করতে পারবো, কিন্তু আর কেউ, যারা আলেম না, তারা কি জানবে তাবলিগ সম্পর্কে? তারা কিছুই জানে না। তারা কেন আমাদের পিটাবে?’ তিনি বলেন, ‘তাবলিগে তো আদব শিখতে আসি। তাবলিগে আসছি আমরা আদব আখলাক, স্বভাব-চরিত্র শেখার জন্য। যাদের কোনও আদব-আখলাক কিছু নেই। তারা কি তাবলীগ করবে? তাবলিগের ইলম-ই তো তাদের কাছে নেই। এ দেশে নতুন তাবলিগ যেন আসতে না পারে। আমরা তাদের তাবলিগে যাবো না।’
হেফাজত আমির আরও বলেন, ‘আল্লাহর পবিত্র কোরআন শরীফের ওপর আমল করবেন। কোরান যা-ই বলে, কোরান মোতাবেক চলবেন। কোরান বুঝবে কে, কোরান বুঝবে আলেমরা, মুফতিরা। এই আলেমদের সাথে সদাচরণ করবেন নাকি এদের পিটাবেন? সাবধান। রাসূলের সুন্নত মোতাবেক আমল করবেন। নতুন মাযহাব যারা বানাচ্ছে তাদের কথা মানবেন না। এখন সালাফি, গায়রে মুকাল্লিদ কত রকমের ফেরকা বের হচ্ছে দিনদিন। এরকম তাবলিগের মধ্যেও একটা নতুন তাবলিগ হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর মতো। কোনও বেশ-কম নাই। জামায়াতে ইসলামীর এখন নামগন্ধও নাই।’
জামায়াত ইসলামী প্রসঙ্গে আহমদ শফী আরও বলেন, ‘এরা এক ইসলাম কায়েম করছে। কিন্তু এটা অচল হয়ে গেছে। এটা চলে না। এরা আমাদের হাটহাজারি মাদরাসা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করার জন্য পিস্তল, ছুরি ইত্যাদি নিয়ে গুণ্ডাদের নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আল্লাহর ফযলে হাটহাজারি মাদ্রাসার কিছু ক্ষতি করতে পারে নাই। শহর থেকে বা বাহির থেকে যত গুণ্ডারা আসছিল তাদের নারীরা মরিচের গুঁড়া দিয়ে বিদায় করেছে।
শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘আইয়িম্মাতিল মুসলিমিন তো পাবো না। প্রধানমন্ত্রী হতে যারা আছেন, রাষ্ট্রপ্রধান, এমপি আরও যারা আছেন, তাদের নসিহত করতে হবে। চিঠির মাধ্যমে হোক বা তাদের কাছে গিয়ে, তাদের বলতে হবে যে, তোমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছো, শরিয়ত মোতাবেক রাষ্ট্র চালাও।’
সূত্রঃ বিটি নিউজ২৪
সূত্রঃ বিটি নিউজ২৪
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: