![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ গতকাল
১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩ দলের
বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এ সময় বিভিন্ন দাবী তুলেধরা হয়।
দাবী সমূহঃ
১. নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর
বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি
প্রোগ্রাম, রেডিও
প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে
স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ
ও প্রদানকারীর শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ নামক কুফরী আইন
প্রত্যাহার করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মানহানীকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ
করে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি কার্যকরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. পবিত্র সাইয়্যিদুল
আইয়াদ শরীফ, পবিত্র
শবে বরাত, পবিত্র
মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং মাজার শরীফ জিয়ারত উনাদের বিরোধীতাকারী সব ওহাবী, সালাফী
তথা তেতুল হুযুর খ্যাত আহমদ শফি মার্কা হেফাজতিদের রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে গ্রেফতার
করতে হবে কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার
মধ্যে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয। অথচ
এরা পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরোধী। এরা
সরকারের কখনো হিতাকাঙ্খী হতে পারেনা। এরা জাতীয় বেইমান। এরা
কখনো নৌকায় ভোট দিবেনা। এদের
মুখে এক, অন্তরে
ভিন্ন আর জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ হেফাজতিদের ভোট গণনায়ও ধরেনা।
৩. দেশের মহাউন্নয়নে
মানবতা ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে
পুণঃরায় ক্ষমতায় আসার জন্য স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীন
বাংলার উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায়
ভোট দিন। পাশাপশি
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কুটুক্তিকারীর শাস্তির ঘোষণা
এবং ইমাম মোয়াজ্জিনের সরকারীভাবে বেতন ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ধন্যবাদ।
৪. সাইয়্যিদু সাইয়্যিদুল
আ’দাদ
শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়অদ
শরীফ তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ সারাদেশে ব্যাপকভাবে পালনে সরকারীভাবে- ক) সর্বোচ্চ
বাজেট বরাদ্দ, খ)
রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনে সব মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা জারী, গ) এই
মাসে মুসলিম কর্মচারীদের বোনাস প্রদান, ঘ) মাসব্যাপী সরকারী ছুটি প্রদান, ঙ) সরকারী
সকল স্থাপনা মনোরম সাজে সজ্জিত করণ, চ)
সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মীলাদ শরীফ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজন, ছ) গরীব, দুঃখীদের
নতুন পোশাক, ওষুধ
বিতরণ, নগদ
অর্থ, চাল
বরাদ্দ ও বিশেষ খাবার সরবরাহ, জ)
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগীতার আয়োজন এবং ঝ) সরকারীভাবে উৎপাদিত সকল পণ্যে
ছাড় দিতে হবে।
৫. সব শ্রেণীর
পাঠ্যপুস্তকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক
বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬. সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল
আ’দাদ
শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ উনার দিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সর্বস্তরের জনগণের সাথে এবং
এমপি মন্ত্রী কর্তৃক নিজ এলাকাবাসীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
৭. আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা
দিবসের মতো ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবসকে বিশ্বছুটির ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটিকে সর্বোচ্চ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
৮. সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল
আ’দাদ
শরীফ তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উনার সম্মানে সর্বপ্রকার অশ্লীল ও অশালীন কাজ বন্ধ
করতে হবে। দেশে
মোবাইল ও ইন্টারনেটে পর্নো এবং ভারতীয় টিভি সিরিয়াল এবং সুন্দরী প্রতিযোগীতা
বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৯. ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ
তারিখে পরিবহন ধর্মঘটের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ায় নৌমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমরা
আশা করি ভবিষ্যতে ১২ই শরীফ উনার এক সপ্তাহ পূর্বে ও পরে কেউই কোন প্রকার ধর্মঘট, হরতাল, রাজনৈতিক
সমাবেশ, খেলাধুলা
ইত্যাদির তারিখ ফেলবে না।
১০. আসন্ন নির্বাচনে
উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলগুলোকে ৩০ শতাংশ আসন দেয়ার উদ্ভট দাবী উত্থাপনকারী ঘৃণ্য
সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। উগ্র
সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের কোন আসন বরাদ্দ দিলে ওলামা লীগসহ স্বাধীনতার চেতনায়
বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলিকেও সংসদে কমপক্ষে ১০০ আসন দিতে হবে।
১১. দেবী সিনেমার নামে
উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচারের ষড়যন্ত্রকারী জয়া আহসানদের গ্রেফতার করতে হবে। এর
পূর্বে জান্নাত সিনেমার মাধ্যমে এসএস মাল্টিমিডিয়া, বস-২ সিনেমার মাধ্যমে জাজ মাল্টিমিডিয়া
মুসলমানদের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করেছে। এছাড়া এসএ টিভি ‘ইউসুফ
আলাইহিস সালাম-জুলেখা’ সিনেমার
মাধ্যমে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকর সিনেমা প্রদর্শন করেছে। অবিলম্বে
উস্কানীমূলক এসব সিনেমা নিষিদ্ধ করে প্রযোজক, পরিচালকদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি
দিতে হবে
১২. ঢাকা, চট্রগ্রামসহ
যানযটপ্রবণ শহরগুলো থেকে পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন করে
কর্মজীবী মানুষের পরিবার স্থানান্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে কখনো যানজট নিরসন হবে না। বরং ঢাকার পরিবর্তে জেলা পর্যায়ে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিভিন্ন
কর্মক্ষেত্র বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
আখেরী রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য
লেখা, প্রকাশনা-প্রচার
এবং বাল্যবিবাহ বিরোধীদের শাস্তি মৃত্যুদ-, মুুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ আসন্ন পবিত্র
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে
দেশের সকল মুসলমান কর্মচারীদের বোনাস প্রদান, সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ, রাষ্ট্রীয়ভাবে
উদযাপনে সব মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা জারী, মাসব্যাপী সরকারী ছুটি প্রদান, সরকারী
সকল স্থাপনা মনোরম সাজে সজ্জিত করণ, সকল
প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মীলাদ শরীফ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজন তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ উদযাপনে ১২ দফা দাবির পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননাকর “দেবী” নামক
সিনেমা নিষিদ্ধ এর প্রযোজক-পরিচালককে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, ভারতীয়
সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরএসএস’ এর
এজেন্ট উগ্র হিন্দুদেরকে আসন্ন নির্বাচনে অধিকহারে মনোনয়ন দিলে উগ্র হিন্দু
প্রার্থীদের ভোট দেয়া বয়কটের দাবিসহ ১৩ দফা দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১৩টি সংগঠন আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেছে।
(১) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি
প্রোগ্রাম, রেডিও
প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে
স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ
ও প্রদানকারীর শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ নামক কুফরী আইন
প্রত্যাহার করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার প্রতি মানহানীকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ করে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি
কার্যকরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সরকারের
বিভিন্ন বাহিনী ও কর্তৃপক্ষের নীরবতার সুযোগে প্রগতিশীল, বুদ্ধিজীবী
ও মুক্তমনার ছদ্মাবরণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান
মুবারকে অবমাননার উদ্দেশ্যে নাস্তিকরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইসলামবিদ্বেষী
ও নাস্তিকদের মুক্তমনা ব্লগ, ইষ্টিশন
ব্লগ, ধর্মকারী
ব্লগগুলো এদেশে এখনো তীব্র ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। গত
বছর ৭ই আগস্ট গণজাগরণ মঞ্চের কুখ্যাত নাস্তিক ‘মাহমুদুল হক মুন্সি’ তার
ফেসবুক টাইমলাইনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার চাচাতো বোন উনাকে জড়িয়ে চরম গর্হিত, অত্যন্ত আপত্তিকর ও ক্ষমার অযোগ্য
স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু
নাস্তিক মুন্সিই নয়; চরম
ইসলামবিদ্বেষী আইডি নয়ন সাহা, সুষুপ্ত
পাঠক, জুলিয়াস
সিজার, জ
ই মামুন, রাজেশ
পাল, সুপ্রীতি
ধর’রা
এদেশে তীব্র সাম্প্রদায়িক উস্কানী ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত
বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। গত
বছর ৭ অক্টেবরও সুপ্রীতি ধর বাথরুমে রেখে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননা করার কথা
বলেছে। অথচ
পুলিশ, র্যাব, বিটিআরসি
তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয়নি, কোনো
ব্যবস্থাও নেয়নি। এর
মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণদের ক্ষেপিয়ে দেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পুলিশ, র্যাব, বিটিআরসি
সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি
মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে
অপপ্রচারে ১৪ বছর কারাদন্ডের বিধান রাখলেও বঙ্গবন্ধুর যিনি হযরত নবী ও রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনাদের অবমাননা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে শাস্তির জন্য ১০ বছর
জেলের বিধান করা হয়েছে। যা
কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং
এটা সংশোধন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও দন্ডবিধি সব আইনেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনাদের বিন্দু থেকে বিন্দুতম অবমাননা করলে বা মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশ
ও প্রচার করলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুদ-ের বিধান করতে হবে।
বক্তারা বলেন, এনজিওগুলো
কর্তৃক বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অব্যাহত তথ্যসন্ত্রাসের শিকার হয়ে অনৈতিক বাল্যবিবাহ
নিরোধ আইন প্রণয়ণ করেছে সরকার। অথচ
দেশে ১৮ বছরের নীচের ছেলে মেয়েদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে আশঙ্কাজনকহারে
বেড়েই চলে অবৈধ গর্ভপাত, ভ্রুণহত্যা
ও কুমারী মাতার পরিমাণ। সে
নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী এনজিও বা সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই।
বক্তারা বলেন, তথাকথিত
বুদ্ধিজীবী সমাজ নামধারী নারীবাদী তথা কথিত প্রগতিবাদীদের দৃষ্টিতে ১৮ বছরের আগে
কেউ বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন
হতে পারে না। অথচ
নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশেই ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেয়া ও করা
সম্পুর্ণ বৈধ এবং তারা বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন
হিসেবে স্বীকৃত। এক্ষেত্রে
তারা আপত্তি জানাতে ব্যর্থ। নারীবাদীদের
পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো ১৬ বা ১৮ বছর বয়সের নীচে বিবাহকে শুধুই যে অনুমতি দিচ্ছে তাই নয়
বরং অবৈধ কুমারী মাতাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের অবৈধ সন্তানের ভরণ-পোষণও করছে। ওয়াশিংটন
ডিসিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘চাইল্ড
ট্রেন্ড’র
সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ জরিপ অনুযায়ী নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকায় ২০০৯ সালে কুমারী
মায়ের সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ। গত
৫ দশকে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী কুমারী মায়ের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তাছাড়া
ইউএস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষা অনুযায়ী আমেরিকায়
প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিশোরী মা হচ্ছে। সেন্টার
ফর সোশ্যাল জাস্টিজের (সিএসজে) গবেষণায় দেখা গেছে ব্রিটেনে, ৪৬ শতাংশ
শিশু জন্ম নেয় কুমারী মায়ের গর্ভে। ২০১৭
সালে আমেরিকায় ২ লাখের
বেশী বাল্যবিবাহ হয়েছে যাদের বয়স ১৫ বছরের নীচে। অথচ এসব দেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত
নারীবাদীদের প্রতিবাদ নেই। কুমারী
মাতা নামক এসব অবৈধ সর্ম্পকের প্রতিকারে জাতিসংঘে তাদের কোন আবেদন নিবেদনও নেই। বরং
বাংলাদেশের মতো মুসলমান দেশগুলোতেই তাদের সব অপতৎপরতা।
বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ
নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বিবাহের ক্ষেত্রে, ছেলের ২১ ও মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম হলে
আইন অনুযায়ী তা বাল্যবিবাহ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য। এক্ষত্রে
বিবাহকারী, বিয়ে
পরিচালনাকারী ও অভিভাবককে ২ বছর কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধানও রয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে
বিবাহ বা বাল্যবিবাহ নিয়ে এদেশের জনগণ বা সরকারের কোন মাথাব্যথা না থাকলেও পবিত্র
দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী পশ্চিমা এনজিওগুলোর মাথাব্যথা বেশী। বিশ্বব্যাপী
মুসলিম জনসংখ্যা হ্রাসে তারা কথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি, মিডিয়া, সরকারের
কর্তাব্যক্তিদের পেছনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। সভা
সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে
নিয়ে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বলাচ্ছে, মিডিয়ায় লিখাচ্ছে। প্রশিক্ষণ
দিচ্ছে। বিনিময়ে
নগদ খাম ধরিয়ে দিচ্ছে। দেশের
পারিবারিক মূল্যবোধ ও সামাজিক বন্ধন ধ্বংস, এইডস ছড়ানো, জনসংখ্যা
হ্রাস, দেশদ্রোহী
হাজারো তৎপরতার সাথে জড়িত এসব এনজিও। এসবের মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক
সংস্থা টেরেডেস হোমস নেদারল্যান্ডস, নিউইয়র্ক
ভিত্তিক প্রোটেকটিং হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর), যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেভ দ্য চিলড্রেন, ইহুদী
স্বার্থ সংরক্ষণকারী ইউনিসেফ, কুখ্যাত
ইহুদী জর্জ সরোসের অর্থায়নে পরিচালিত ব্র্যাক, ‘প্লান ইন্টারন্যাশনাল’ ইত্যাদি। বাল্যবিবাহ
এবং দেশ ও মুসলিম বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত এসব এনজিওদের নিষিদ্ধ করতে হবে। অবিলম্বে
বাল্যবিবাহ নিরোধ নামক কুফরী আইন প্রত্যাহার করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অবমাননার কারণে তাদেরকে
মৃত্যুদ- দিতে হবে।
(২) পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ, পবিত্র
শবে বরাত, পবিত্র
মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং মাজার শরীফ জিয়ারত উনাদের বিরোধীতাকারী সব ওহাবী, সালাফী
তথা তেতুল হুযুর খ্যাত আহমদ শফি মার্কা হেফাজতিদের রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে গ্রেফতার
করতে হবে কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম
উনার মধ্যে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
করা ফরয। অথচ
এরা পবিত্র মীলাদ শরীফ পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ বিরোধী। এরা সরকারের কখনো হিতাকাঙ্খী হতে পারেনা। এরা
জাতীয় বেইমান। এরা
কখনো নৌকায় ভোট দিবেনা। আর
জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ হেফাজতিদের ভোট গণনায়ও ধরেনা।
বক্তারা বলেন, পবিত্র
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য স্বয়ং মহান
আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আদেশ করেছেন। যা
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে পালন করেছেন, হযরত
ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পালন করেছেন হযরত আউলিয়ায়ে
ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও পালন করেছেন। এদেশে সরকারীভাবে সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র
ক্বিয়াম শরীফ প্রচলন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে। এ
যাবত কাল পর্যন্ত সরকারীভাবে প্রতিবছর পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম পালিত হয়ে আসছে। সেই
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং পবিত্র মীলাদ
ক্বিয়াম শরীফ উনার বিরোধীতা করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দুশমন হওয়ার পাশাপশি নিজেদের
রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে প্রমাণ করেছে ওহাবী-সালাফী মতাদর্শীরা তথা আহমক শফির
হেফাজতিরা। যারা
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারী ও বিরোধীতাকারী তারা
বঙ্গবন্ধুরও বিরোধীতাকারী এবং বর্তমান সরকারের বিরোধীতাকারী। এরা
সুযোগসন্ধানী। এদের
বিশ্বাস করা কখনো ঠিক হবে। এরা
কখনো আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এদের
ভোটও আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। এরা
জাতীয় বেঈমান। অবিলম্বে
এসব ওহাবী-সালাফী-আইএস সন্ত্রাসী ও তাদের মতাদর্শী শফিগং যারা পবিত্র ঈদে মীলাদে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে গ্রেফতার করতে হবে। উল্লেখ্য, খোদ
হেফাজতীদের কাছেই আহমক শফী বড় আহমক। কাজেই এসব আহমক হেফাজতিদের আওয়ামী লীগের
কোনই দরকার নেই। বরং
তারা তাদের কায়েমী স্বার্থবাদী হাসিল করতেই আওয়ামী লীগে এসেছে। এরা
বসন্তের কোকিল। আসলে
এরা জাতীয় মোনাফেক। এরা
কিছুদিন পূর্বে রটনা করেছে যে শেখ হাসিনার সরকার ৫ই মে রাজপথে হাজার হাজার আলেমদের
হত্যা কেেছ। নাঊযুবিল্লাহ!
আর এরাই এখন বড় আওয়ামী রীগার হয়েছে। এরা প্রধানমন্ত্রী কওমী জননী বলে
প্রধানমন্ত্রীর মানহানি করেছে। কারণ
প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা। প্রধানমন্ত্রী
তাদের মত বেঈমান ও অজ্ঞ এবং সুবিধাবাদী লোকের মা হতে পারেনা।
(৩) দেশের মহাউন্নয়নে মানবতা ও পবিত্র
দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুণঃরায় ক্ষমতায়
আসার জন্য স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীন বাংলার উন্নয়নের অদম্য
অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন। পাশাপশি
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কুটুক্তিকারীর শাস্তির ঘোষণা
এবং ইমাম মোয়াজ্জিনের সরকারীভাবে বেতন ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ধন্যবাদ।
বক্তারা বলেন, মহাকাশে
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, স্বল্পোন্নত
দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল
উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং
ভারতে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি লাভনারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান
রাখায় অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে “গ্লোবাল
সামিট অব উইমেন” লিডারশীপ
অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ার পাশাপাশি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কুটুক্তিকারীর শাস্তির ঘোষণা দেয়ায় এবং ইমাম
মোয়াজ্জিনের সরকারীভাবে বেতন ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী
লীগ সভানেত্রীকে ধন্যবাদ। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। তাই
দেশে নারী পুরুষ নির্বিশেষে উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌকার
কোনো বিকল্প নেই। আগামীতে
নৌকাকে বিজয়ী করে আবারও সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তাই
দেশের মহাউন্নয়নে মানবতা ও ইসলামের খিদমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে
পুণঃরায় ক্ষমতায় আসার জন্য স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীন
বাংলার উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায়
ভোট দিন। পাশাপাশি
(৪) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
শরীফ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ সারাদেশে ব্যাপকভাবে পালনে সরকারীভাবে ক) সর্বোচ্চ
বাজেট বরাদ্দ, খ)
রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনে সব মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা জারী, গ) এই
মাসে মুসলিম কর্মচারীদের বোনাস প্রদান, ঘ) মাসব্যাপী সরকারী ছুটি প্রদান, ঙ) সরকারী
সকল স্থাপনা মনোরম সাজে সজ্জিত করণ, চ)
সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মীলাদ শরীফ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজন, ছ) গরীব, দুঃখীদের
নতুন পোশাক, ওষুধ
বিতরণ, নগদ
অর্থ, চাল
বরাদ্দ ও বিশেষ খাবার সরবরাহ, জ)
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগীতার আয়োজন এবং ঝ) সরকারীভাবে উৎপাদিত সকল পণ্যে
ছাড় দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, খ্রিস্টান
বিশ্ব ২৫শে ডিসেম্বরকে তাদের নবীর জন্মদিন হিসেবে যেভাবে জাঁকজমকের সাথে পালন করে, সে
তুলনায় মুসলমান হিসেবে আমাদের দেশে তেমন কিছুই করা হয় না। তাছাড়া
আমাদের দেশের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানের তুলনায়ও পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুবই দায়সারাভাবে হেলাফেলায় উদযাপন করা হয়। তুলনামূলকভাবে
হয় না কোনো প্রচার প্রসার, হয়
না তেমন বাজেট বরাদ্দ। অথচ
রবীন্দ্রের সার্ধশত বার্ষিকী ব্যাপকভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের যৌথ
উদ্যোগে। বছরব্যাপী
অনুষ্ঠান করা হয়। কোটি
কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। শুধু
তাই নয়, রবীন্দ্রের
নামে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এতেও
কোটি কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস
উপলক্ষে সেই রকম বাজেট বরাদ্দ করা হয় না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়সারা কয়েকদিনের
আলোচনা, বই
মেলা ইত্যাদি যৎসামান্য আয়োজনেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়। যা
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। এ
দৈন্যদশার অবসান করতে হবে।
বক্তারা বলেন, এ
দিবস মুবারক পালনে রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ
মর্যাদায় পালন করতে হবে। পাশাপাশি
ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়, সিটি
কর্পোরেশন, পৌরসভা
ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক পরিসরে মাসব্যাপী পবিত্র ঈদে
মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের নির্দেশনা সম্বলিত
গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সরকারি
চাকরিজীবীদের জন্য পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নববর্ষ উদযাপন ভাতা চালু করা হয়েছে। পহেলা
বৈশাখের উৎসব মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। পহেলা
বৈশাখ মুসলমানদের ঈদ নয়। মুসলমানদের
সবচেয়ে বড় ঈদ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাপবিত্র
সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ। কাজেই
যেখানে সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম সেখানে মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের
বোনাস বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে বোনাস দেয়া উচিত। সরকারি
চাকরিজীবীদের জন্য পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নববর্ষ উদযাপন ভাতা চালু করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের
সকল মুসলমান কর্মচারীকে নববর্ষের পরিবর্তে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, পবিত্র
রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে বোনাস প্রদান করতে হবে।
বক্তারা বলেন, এদিন
ও মাসের সম্মানে রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসব্যাপী রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। দেশব্যাপী
সরকারী-বেসরকারী স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিত করতে হবে। পবিত্র
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারী সব প্রতিষ্ঠানে
ছাড় দেয়া এবং বিশেষ পণ্য সামগ্রী তৈরী করতে হবে। তাছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, সাইয়্যিদুল
আ’ইয়াদ
শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে
বিশেষভাবে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা। দেশের
সকল বিভাগ, জেলা, থানাভিত্তিক
তথা সারাদেশব্যাপী সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রতিযোগীতার আয়োজন
করা। যাতে
সবাই ‘ফালইয়াফরাহু’ বা
খুশী প্রকাশ করতে পারে। দেশের
সকল মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া, পবিত্র
মীলাদ শরীফ মাহফিল আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। সকল কর্মচারীদের মাসব্যাপী সরকারী ছুটি
প্রদান করতে হবে। অন্যান্য
জাতীয় দিবসের ন্যায় ১লা রবিউল আউয়াল শরীফ থেকে ১২ই শরীফ পর্যন্ত সরকারী সকল
স্থাপনা মনোরম সাজে সজ্জিত করতে হবে। সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মীলাদ
শরীফ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজনের নির্দেশনা দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে
সংখ্যালঘু হিন্দুরা যেভাবে সরকারী ব্যাপক পৃষ্টপোষকতায় দুর্গাপূজা পালন করে
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ; সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, পবিত্র
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনে সেভাবে পৃষ্টপোষকতা
করা হয় না। ত্রাণ
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী এ বছর দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা সারা দেশে ৩১ হাজার
১৩০টি পূজামন্ডপে পূজা অর্চনা করে। প্রতিটি
পূজাম-পে সরকার ৫০০কেজি করে ১৫ হাজার ৬৫ মে: টন চাল বরাদ্দ করে। এছাড়া
২০১৫-১৬ সালের বাজেটে আলাদাভাবে হিন্দুদের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ
মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে কোন চাল, গম নগদ অর্থ কিছুই বরাদ্দ করা হয় না। তাছাড়া
পূজার সময় সারা দেশের পূজামন্ডপ ঘিরে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়। হাজার
হাজার র্যাব, পুলিশ
ও আনসার মোতায়েন করা হয়। কিন্তু
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এরকম কোন উদ্যোগ
নেয়া হয়না। অবিলম্বে
আসন্ন ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবস উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, মাজার
শরীফসহ সব গরীব, দুঃখীদের
নতুন পোশাক, ওষুধ
বিতরণ, বিশেষ
খাবার সরবরাহ ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করতে হবে পাশাপাশি সব মসজিদ মাদরাসা, মাজার
শরীফে র্যাব, পুলিশ
ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। সকল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগীতার আয়োজন করতে হবে পাশাপাশি সরকারীভাবে উৎপাদিত সকল
পণ্যে ছাড় ঘোষণা করতে হবে।
(৫) রাষ্ট্রীয়ভাবে বছরব্যাপী ইসলামী ও
সামাজিক অনুষ্ঠানসূচী ঘোষণা করা। যেমন, পবিত্র
ওয়াজ মাহফিল, দ্বীনি
তা’লীমের
ব্যবস্থা, বই
প্রদর্শনী, সামরিক
প্রদর্শনী, সাধারণ
ক্ষমা ঘোষণা, পতাকা
উত্তোলন, অস্বচ্ছল
ও বেকারদের চাকুরীর ব্যবস্থা দেয়া, গৃহহীনদের
গৃহ দেয়ার ঘোষণা দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে
রবীন্দ্রের সার্ধশত বার্ষিকী ব্যাপকভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের যৌথ
উদ্যোগে। বছরব্যাপী
অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করা হয় না। সমস্ত
সৃষ্টি যার উছিলায় উনার জন্মদিন উপলক্ষে কেন বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করা হবে
না? দেশবাসী
ও সরকারের সবাই রহমত বরকত লাভের জন্য সারা বছর ব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা ঘোষণা
করতে হবে। যেমন, ওয়াজ
মাহফিল, দ্বীনি
তা’লীমের
ব্যবস্থা, বই
প্রদর্শনী, সামরিক
প্রদর্শনী, সাধারণ
ক্ষমা ঘোষণা, পতাকা
উত্তোলন, অস্বচ্ছল
ও বেকারদের চাকুরীর ব্যবস্থা দেয়া, গৃহহীনদের
গৃহ দেয়ার ঘোষণা দিতে হবে।
(৬) সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আমাদের
পাঠ্যপুস্তকে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, হযরত
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবাই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র
জীবনী মুবারক অর্ন্তভুক্ত থাকতো তাহলে দেশে সন্ত্রাসবাদ, হানাহানী, ঘুষ, দুর্নীতি
এগুলো থাকতো না। সবার
মধ্যে আল্লাহ ভীতি থাকতো। উনাদের
মুহব্বতে সব ধরনের হারাম কাজ থেকে সবাই বিরত থাকতো। দেশের মধ্যে সব সময় রহমত-বরকত নাযিল হতো। তাই
সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান
জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সরকারের
বিভিন্ন বাহিনী ও কর্তৃপক্ষের নীরবতার সুযোগে প্রগতিশীল, বুদ্ধিজীবী
ও মুক্তমনার ছদ্মাবরণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অবমাননায়
নাস্তিকরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের মুক্তমনা
ব্লগ, ইষ্টিশন
ব্লগ, ধর্মকারী
ব্লগগুলো এদেশে এখনো তীব্র ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। গত ৭ই
আগস্ট গণজাগরণ মঞ্চের কুখ্যাত নাস্তিক ‘মাহমুদুল হক মুন্সি’ তার
ফেসবুক টাইমলাইনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার চাচাতো বোনকে জড়িয়ে চরম গর্হিত, অত্যন্ত আপত্তিকর ও ক্ষমার অযোগ্য
স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু
নাস্তিক মুন্সিই নয়; চরম
ইসলামবিদ্বেষী আইডি নয়ন সাহা, সুষুপ্ত
পাঠক, জুলিয়াস
সিজার, জ
ই মামুন, রাজেশ
পাল, সুপ্রীতি
ধর’রা
এদেশে তীব্র সাম্প্রদায়িক উস্কানী ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত
বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। গত
বছর ৭ অক্টেবরও সুপ্রীতি ধর বাথরুমে রেখে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননা করার কথা
বলেছে। অথচ
পুলিশ, র্যাব, বিটিআরসি
তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয়নি, কোনো
ব্যবস্থাও নেয়নি। এর
মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণদের ক্ষেপিয়ে দেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পুলিশ, র্যাব, বিটিআরসি
সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। গত
০১ অক্টোবরও ময়মনসিংহের উগ্র হিন্দু বিমল পালের ছেলে বিলাশ পাল দেশ থেকে মসজিদ
উঠিয়ে মন্দির তৈরী করতে বলেছে। এই
বিলাশ পালকে অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিন্দু
থেকে বিন্দুতম অবমাননা করলে বা মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশ ও প্রচার করলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুদ-
দিতে হবে। এজন্য
আইন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
(৭) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ উনার দিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সর্বস্তরের জনগণের সাথে এবং
এমপি মন্ত্রী কর্তৃক নিজ এলাকাবাসীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, দুই
ঈদে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সর্বস্তরের জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন তবে সকল ঈদের সেরা ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উপলক্ষে আনন্দ উৎসব পালনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি’র
শুভেচ্ছা বিনিময় চালু হয়নি। এমপি
মন্ত্রী কর্তৃক সেটা চালু নেই। সর্বশ্রেষ্ট
এই ঈদ উপলক্ষে মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শুভেচ্ছা বিনিময় করতে
আমরা আহবান জানাই। পাশাপাশি
প্রত্যেক এমপি, মন্ত্রীরা
নিজ এলাকাবাসীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের উদ্যোগ নিতে আমরা আহবান জানাই। এটা
দেশবাসী জনগণের একান্ত কামনা।
(৮) আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবসকে বিশ্বছুটির ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটিকে সর্বোচ্চ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
বক্তারা বলেন, হযরত
ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম দিনকে খ্রিষ্টমাস ডে নাম দিয়ে বিশ্বের সব দেশে ছুটি দেয়া
হয়। তাহলে
যিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনারও নবী এবং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল; উনার
জন্মদিন উপলক্ষে কেন বিশ্বব্যাপী ছুটি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবেনা? নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী ছুটি দেয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। যেখানে
বর্তমানে ভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই
সারাবিশ্বের জন্য আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হয়েছে, একইভাবে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফে আর্ন্তজাতিক ছুটি আদায় করা সম্ভব। এতে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু বাংলাদেশের মুসলমানদের নয় বরং বিশ্ব মুসলমানগণের ধর্মীয়
নেতা হিসেবেও গন্য হবেন।
বক্তারা বলেন, আসন্ন
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবস উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, মাজার
শরীফসহ সব গরীব, দুঃখীদের
নতুন পোশাক, ওষুধ
বিতরণ, বিশেষ
খাবার সরবরাহ ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করতে হবে পাশাপাশি সব মসজিদ মাদরাসা, মাজার
শরীফে র্যাব, পুলিশ
ও আনসার মোতায়েন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, উম্মতগণ
যাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ধারণ, সব
সময় প্রশংসা করণ সর্বোপরি উনার খিদমত করতে পারে সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটি দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে
প্রতিবছর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ব্যাপকভাবে পালন করে আসছে। দেশের সর্বস্তরে নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক জারী
করতে এ কমিটিকে সরকারীভাবে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
(৯) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উনার সম্মানে সর্বপ্রকার অশ্লীল ও অশালীন কাজ বন্ধ করতে
হবে। দেশে
মোবাইল ও ইন্টারনেটে পর্নো এবং ভারতীয় টিভি সিরিয়াল এবং সুন্দরী প্রতিযোগীতা
বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত
রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা রক্ষার্থে ক্রিকেট, ফুটবলসহ
যেকোন আর্ন্তজাতিক বা ঘরোয়া খেলা, সিনেমা-নাটক, পর্ণোগ্রাফী, ভারতীয়
টিভি সিরিয়াল এবং সুন্দরী প্রতিযোগীতা বন্ধে শক্ত পদক্ষেপসহ সব ধরণের অশ্লীলতা
নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে
এসে ভারতীয় নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের
অশ্লীলতা ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। সব
ভারতীয় টিভি চ্যানেল এদেশে বন্ধ করতে হবে।
(১০) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ তারিখে পরিবহন ধর্মঘটের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ায়
নৌমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমরা
আশা করি ভবিষ্যতে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ তথা ১২ই শরীফের এক সপ্তাহ পূর্বে ও
পরে কেউই কোন প্রকার ধর্মঘট, হরতাল, রাজনৈতিক
সমাবেশ, খেলাধুলা
ইত্যাদির তারিখ ফেলবে না।
বক্তারা বলেন, আগামী
২১ নভেম্বর থেকে পরিবহন শ্রমিকদের ঘোষিত ধর্মঘটের দিনে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ হওয়ায় তা প্রত্যাহারের ওয়াদা করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী
শাহজাহান খান। সেজন্য
নৌমন্ত্রীকে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। উল্লেখ্য
গত বছর খ্রিষ্টানদের কথিত পোপের আগমনে কুচক্রীদের চক্রান্তে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল
আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ডিএমপি। তাই
আসন্ন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ নিয়ে কুচক্রীদের যেকোন চক্রান্ত এদেশের ৯৮ভাগ মুসলমান
জনগণ মেনে নিবে না। আমরা
আশা করি আসন্ন ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফসহ ভবিষ্যতে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ
তথা ১২ই শরীফের এক সপ্তাহ পূর্বে ও পরে কেউই কোন প্রকার ধর্মঘট, হরতাল, রাজনৈতিক
সমাবেশ, খেলাধুলা
ইত্যাদির তারিখ ফেলবে না এবং এই মুবারক দিন নিয়ে কোন চক্রান্ত করবেনা।
(১১) আসন্ন নির্বাচনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী
দলগুলোকে ৩০ শতাংশ আসন দেয়ার উদ্ভট দাবী উত্থাপনকারী ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক
ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের কোন আসন
বরাদ্দ দিলে ওলামা লীগসহ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলিকেও সংসদে
কমপক্ষে ১০০ আসন দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ভারতীয়
সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরএসএস’ এর
এজেন্ট উগ্র হিন্দুদের আসন্ন নির্বাচনে অধিক হারে মানোনয়ন দিয়ে দেশে সাম্প্র্রদায়িক
সন্ত্রাস লাগানোর চক্রান্ত করছে বিএনপি’র গয়েশ্বররা। মুসলিম
বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে ভারতের সন্ত্রাসী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক
সঙ্ঘ (আরএসএস) অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সন্ত্রাসী
সংগঠন আরএসএস ৩০ শতাংশ হিন্দু এমপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ঢুকানোর জন্য দেনদরবার
করছে। বাংলাদেশের
বিরুদ্ধে নালিশকারী আরএসএস এজেন্ট রানা দাশগং এই অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। আরএসএস
এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বিএনপি’র
গয়েশ্বরগং।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে
অবস্থান করে ইতিমধ্যে এদেশে গরু কোরবানী নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ
খিষ্টান নামের সাম্প্রদায়িক পরিষদ। এসব
মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু এমপি হলে ভারতের মতো বাংলাদেশেও গরু কোরবানী করলে ঘর থেকে
বের করে নিয়ে মুসলমানদের পিঠিয়ে হত্যা করবে। জাতিগত দাঙ্গা লাগিয়ে মুসলিমদের
পাকিস্থান যেতে বলবে। গয়েশ্বর, সুনীল
শুভ, পংকজদের
চক্রান্ত রুখে দেয়া হবে। তাদের
চক্রান্ত এদেশবাসী মুসলমানরা মেনে নিবে না। যারা মুসলিমদের বাদ দিয়ে উগ্র হিন্দু
এমপি অধিক হারে মনোনয়ন দিবে তাদের আগামী ভোটে বয়কটের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক
চক্রান্ত প্রতিহত করবে মুসলমানরা।
মুসলিম এমপি বাদ দিয়ে
ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরএসএস’ এর
এজেন্ট উগ্র হিন্দুদের আসন্ন নির্বাচনে অধিক হারে মানোনয়ন দিয়ে দেশে
সাম্প্র্রদায়িক সন্ত্রাস লাগানোর বিএনপি’র গয়েশ্বরদের চক্রান্ত এদেশবাসী
মুসলমানরা মেনে নিবে না। উগ্র
সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের কোন আসন বরাদ্দ দিলে ওলামা লীগ সহ স্বাধীনতার চেতনায়
বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলিকেও সংসদে কমপক্ষে ১০০ আসন দিতে হবে। যারা
মুসলিমদের বাদ দিয়ে উগ্র হিন্দু এমপি অধিকহারে মনোনয়ন দিবে তাদের আগামী ভোটে
বয়কটের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত প্রতিহত করবে মুসলমানরা।
(১২) দেবী সিনেমার নামে উগ্র
হিন্দুত্ববাদ প্রচারের ষড়যন্ত্রকারী জয়া আহসানদের গ্রেফতার করতে হবে। এর
পূর্বে জান্নাত সিনেমার মাধ্যমে এসএস মাল্টিমিডিয়া, বস-২ সিনেমার মাধ্যমে জাজ মাল্টিমিডিয়া
মুসলমানদের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করেছে। এছাড়া এসএ টিভি ‘ইউসুফ
আলাইহিস সালাম-জুলেখা’ সিনেমার
মাধ্যমে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকর সিনেমা প্রদর্শন করেছে। অবিলম্বে
উস্কানীমূলক এসব সিনেমা নিষিদ্ধ করে প্রযোজক, পরিচালকদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি
দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ৯৮ ভাগ
মুসলমানের দেশে মুসলমানদের স্পর্শকাতর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ‘দেবী’ সিনেমার
নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদের দালাল অনম বিশ্বাস, জয়া
আহসানগং। ইনুর
চক্রান্তে বাংলাদেশ ভারত যৌথ সিনেমা চালুর পর থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার
অবমাননাকর সিনেমা তৈরী হচ্ছে। পবিত্র
দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে যেখানে দেব-দেবী, মূর্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সেখানে ৯৮ ভাগ
মুসলমানের দেশে দেব-দেবীর চেতনা, মূর্তি
পূজা চর্চা শেখাচ্ছে অনম বিশ্বাস, জয়া
আহসান, চঞ্চল
চৌধুরীগং। এই
সিনেমার পুরোটাই মূর্তিপূজারীদের গালগল্প। যেমন, সিনেমার স্ক্রিপটে বলা হয়েছে, “পালরা
স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তার পরপরই তাদের ভাগ্য-বিপর্যয় শুরু হয়। তিন-চার
বছরের মধ্যে পালরা নির্বংশ হয়ে পড়ে। দেবীকে তুষ্ট করার জন্যে তখন এক রাতে
কুমারীকন্যাকে অমাবস্যা রাত্রিতে মন্দিরের সামনে বলি দেয়া হয়। দেবীর
তুষ্টি হয় না তাতেও। পাথরের
মূর্তি এত সহজে বোধহয় তুষ্ট হয় না।” এরুপ
মূর্তি পূজার ছবি ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিভাবে? এদেশের
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষীদের যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। সারাদেশে
এই কুখ্যাত সিনেমা অবিলম্বে বন্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এর
আগেও “জান্নাত” নামক
সিনেমা তৈরী করে অমার্জনীয় গর্হিত অপরাধ করেছে এস এস মাল্টিমিডিয়া। এর
আগে জাজ মাল্টিমিডিয়াও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনর অবমাননাকর সিনেমা তৈরী করেছে। তাছাড়া
এসএ টিভি ‘ইউসুফ
আলাইহিস সালাম-জুলেখা’ সিনেমার
মাধ্যমে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকর সিনেমা প্রদর্শন করেছে। অবিলম্বে
উস্কানীমূলক এসব সিনেমা নিষিদ্ধ করে প্রযোজক, পরিচালকদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি
দিতে হবে।
(১৩) ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে কখনো যানজট নিরসন হবে না। বরং ঢাকার পরিবর্তে জেলা পর্যায়ে অফিস-আদালত, গার্মেণ্টস, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিভিন্ন
কর্মক্ষেত্র বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করতে হবে। অচল
শহর হওয়া থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে রাজধানী ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ঢাকা
পরিণত হয়েছে দেশবাসীর প্রধান গন্তব্যস্থলে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, বিচার
ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ
সকল ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ঢাকাকে কেন্দ্র করে। অতিরিক্ত চাপ সইতে না পেরে ঢাকা অচল শহর
হতে চলেছে ঢাকা। এ
অবস্থা থেকে উত্তরণে ঢাকা শহরের বিকেন্দ্রীকরণ-এর কোন বিকল্প নেই।
বক্তারা বলেন, গবেষণায়
এসেছে, সারাদেশে
সরকারি-বেসরকারি ৮২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টিই ঢাকায়। ৩৮টি
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ৩২টিই এ ঢাকা মহানগরীতে। শুধু
সংখ্যার বিচারেই নয়, মানের
দিক থেকেও দেশের সেরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এ শহরটিতে কেন্দ্রীভূত। বাংলাদেশ
শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (মে, ২০০৯) তথ্য অনুযায়ী, ৬টি
বিভাগে স্কুল, কলেজ
ও মাদ্রাসায় ১ কোটি ৭ লাখ ৭৩ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এরমধ্যে
৩০ লাখ ৩০ হাজার (২৮ শতাংশ) শিক্ষার্থী শুধু ঢাকা বিভাগেই। এর
বড় অংশটি ঢাকা শহরে। উচ্চশিক্ষার
ক্ষেত্রে দেশের চরম ভারসাম্যহীন অবস্থার এটিই বাস্তবচিত্র।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি
ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক ‘দ্য
গ্লোবাল লিভেবিলিটি রিপোর্ট ২০১৭’ ১৪০টি
শহরের রাজধানী ঢাকা ৩৮ দশমিক ৭০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের বাস-অযোগ্য শহরের তালিকায়
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ঢাকায়
বর্তমানে ২ কোটি লোকের বসবাস। ১৯৮০
সালে ঢাকায় ৩০ লাখ লোকের বসবাস ছিল। এর মধ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বস্তিতে বসবাস
করে। ২০৩৫
সালে ঢাকায় মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৫ মিলিয়ন হবে। ১০ বছর আগে ঢাকার গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার, আর
বর্তমানে তা প্রায় ৪ কিলোমিটারে নেমে আসছে। মানুষের হাঁটার গতির মান ঘণ্টায় গড়ে
পাঁচ কিলোমিটারের মতো। সবমিলিয়ে
অচল শহরে পরিণত হতে চলেছে ঢাকা। এ
থেকে পরিত্রাণে অবিলম্বে ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণের কোনই বিকল্প নেই। প্রতিটি
জেলার সুষম উন্নয়ন করতে গেলেও বিকেন্দ্রীকরণের ছাড়া কোন উপায় নেই। অবিলম্বে
ঢাকা শহরের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
সমাবেশ ও মানবন্ধনে
সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ
আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান
বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর
সাহেব, টাঙ্গাইল)। বক্তব্য
রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত
ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সহ
সভাপতি- মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা
মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা
মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর
সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী সভাপতি
বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি, লায়ন
আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ মুজিবুর রহমান
আল মাদানী, হাফেজ
ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, হাফেজ
মুহম্মদ আব্দুল বারী, কারী
মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, আলহাজ মুহম্মদ খোরশেদ আলম রেজভী, হাফেজ
মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, আলহাজ্জ
মাওলানা রফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি আল কুরাইশি, হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক, মুহম্মদ
গরীব মাহাবুব (রুপগঞ্জ), অধ্যাপক
কাজী মাওলানা মুহম্মদ নোমান চৌধুরী, হাফেয
মাওলানা মুহম্মদ খালেদ হাসান (মির্জাগঞ্জ), মৌলভী মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন, মাওলানা
মুহম্মদ ইকরাম ফারুক (মির্জাপুর), মাওলানা
শেখ মুহম্মদ আলী নূর- সভাপতি শ্রীনগর উপজেলা ওলামা লীগ, মাওলানা
মুহম্মদ আব্দুর রব-সা:সম্পাদক শ্রীনগর উপজেলা ওলামা লীগ, মাওলানা
মুহম্মদ মাহবুব আলম, মাওলানা
মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন, মাওলানা
মুহম্মদ আব্দুস সুবহান, মাওলানা
মুহম্মদ মুখতারুজ্জামান আশরাফী, মাওলানা
মুহম্মদ আবুল বাশার (নাগরপুর), হাফেয
মাওলানা মুহম্মদ এনামুল হক, হাফেয
মাওলানা মুহম্মদ কাজী মুহম্মদ শাহীন মক্কি, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল কাদের, হাজী
মুহম্মদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা
মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার। মিছিল
শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী
মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা
লীগসহ সমমনা ১৩ দলের পক্ষে-
(আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো: আবুল হাসান
শেখ শরীয়তপুরী)
সাধারণ সম্পাদক-
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা
লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
মোবাইলঃ ০১৮১৯-২৭৯৪৭৫।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: