24 November 2018

সহায়ক পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব মিয়ানমারেরঃ ইউএনএইচসিআর

ফাইল ছবি
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব মিয়ানমারেরএজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা- ইউএনএইচসিআর

একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের জন্য আনান কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার মূল কারণগুলোও সমাধানের আহ্বান জানায় সংস্থাটিশুক্রবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের অঙ্গীকার ও কিছু পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআরতবে রোহিঙ্গাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, সেবা পাওয়ার অধিকার, কাজের ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের পদক্ষেপ নিতে হবেরোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে এই পদক্ষেপ জরুরিযাতে তারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুনে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের আগের বসবাসস্থল এবং প্রত্যাবাসনের পর তাদের থাকার সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে ইউএনএইচসিআর ও ইইএনডিপির কার্যকর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা জরুরিকঠিন সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ও এখন পর্যন্ত সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে

একইসঙ্গে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়গুলোর একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানে সকল পক্ষকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ইউএনএইচসিআর

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত সহিংসতা ও নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারাসে সময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেআন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমারসর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর থেকে প্রথম ধাপে ২ হাজার ২৫১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়কিন্তু রোহিঙ্গারা যেতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নিস্থানীয়দের অভিযোগ যে, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর চক্রান্তের কারণে এই প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি


শেয়ার করুন

0 facebook: