15 December 2018

ড. কামালের গাড়িতে হামলার অবিলম্বে তদন্ত দাবি


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও  তীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছেএতে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিকের গাড়িসহ ৬/৭টি গাড়ির ভাংচুর হয়আহত হয়েছে ঢাকা-১৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু, আ স ম আবদুর রবের গাড়ি চালকসহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী

এদিকে এধরনের হামলাকে মেনে নেয়া যায়না মন্তব্য করে অবিলম্বে হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন ড. কামাল হোসেনরাজধানীর জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানানস্মৃতিসৌধে তিনি বলেছেন, যত শক্তিধর হোক তারা দেশে মালিক জনগণের কাছে তাদের নত হতে হবে, তাদের পরাজয় হবেইসংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসিন মন্টু, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিকউল্লাহ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেনপরে কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের এক আলোচনায় অংশ নেন ড. কামাল হোসেন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সমন্বয়ক লতিফুল বারী হামিম জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবদন শেষে ড. কামাল হোসেন স্যার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গেইটের বাইরে নিজের গাড়িতে উঠার পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটেছাত্রলীগ-যুব লীগের একদল সন্ত্রাসী স্যারের গাড়ির দিকে লাঠি-সোটা নিয়ে এই হামলা চালায়তারা স্যারের গাড়িতের লাঠি দিয়ে আঘাত করেঘটনার মুহুর্তেই ফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের গাড়িতেও তারা হামলা চালায়এতে গাড়ি চালক গুরুতর আহত হয়েছেনতাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছেসন্ত্রাসী এলোপাথারি লাঠি দিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর এই হামলা করলে নেতা-কর্মীরা দিগি¦দিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেপরিস্থিতির এক পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত হতে থাকে

হামিম জানান, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে যানসেখানে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেনএ সময় আ স ম আবদুর রব, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির আবদুস সালাম, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

জামায়াতে ইসলামীর বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখানে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছিকত টাকা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? এটা শহীদ মিনারএকাত্তর সালের শহীদরা এখানেশহীদতের কথা চিন্তা করা উচিৎখামোশ! তিনি বলেন, আজকে আমরা এখানে এসেছি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেলাখো শহীদ জীবন বির্সজন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে আমরা যেন ধরে রাখি, সকলের জন্য অর্থ পূর্ণ করিএই স্বাধীনতা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে যারা আখের গোছাতে চাচ্ছে তাদের জন্য নয়, সব মানুষের এই স্বাধীনর অংশীদার ও প্রাপ্যশোষণমুক্ত সুন্দর সমাজের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছিস্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, লোভ লালসা নিয়ে লুটপাট করছে, তাদের হাত থেকে এই দেশকে মুক্ত আমরা করবই

হামলার ঘটনায় তদন্ত দাবি: এদিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হামলার ঘটনা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় নাউল্লেখ করে অবিলম্বে তার তদন্ত চেয়েছেন ড. কামাল হোসেনপুলিশ বাহিনীকে সংবিধানের বাইরে কোনো অন্যায় আদেশ না মানারও পরামর্শ দেন তিনিবিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা এই দাবি জানানতিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনে সেখানে এই ধরনের ঘটনা আমাদের প্রতি কী হয়েছে সেটা আমরা চিন্তা করি নাশহীদদের প্রতি তারা অবমননা করেছেএটা মেনে নেয়া যায় না, এটা সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ মেনে নিতে পারে নাপুলিশের আইজির কাছে আমি লিখিত চিঠি পাঠাবোআপনার সম্পর্কে আমার খুব ভালো ধারনা ছিলো যেন সেই ধারনা থাকে সেই কারণে আমি অনুরোধ করব, আপনি আমাদের কথাগুলোকে খুব গুরত্ব সহকারে দেখবেন যে জিনিসগুলো আপনাদেরকে তথ্য দেয়া হবে আপনি বিশ্বস্ত লোককে দিয়ে তদন্ত করাবেনআমরা এই তদন্তকে পুরোভাবে সাহায্য করবো যাতে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে আমরা এই কাজটি করব

আহতদের সাংবাদিকদের দেখিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, তাদের মেডিকেল সার্টিফিকেট আছেরব সাহেবের আঙ্গুলটা দেখছেনআইজি সাহেব আমি কথা দিচ্ছি- সব রকমের সাহায্য আমরা করবোআইনানুগ সাহায্য, তদন্ত করার সাহায্য করবো আপনার পুলিশের মধ্যে যাদের বিশ্বস্ত মনে করে তাদেরকে ঢেকে একটু দায়িত্ব দিন, আমাদের সঙ্গে দিন

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওখানে শহীদরা আছেন সেখানে আমরা গেছি শ্রদ্ধা জানাতেএটাতে যাদের গায়ে লাগে ওরা কারা? ভাড়াটিয়াপয়সা নিয়ে এসব তারা করেছেএটা কোনো নীতির কাজ হতে পারে নাএই কাজ কোনো সুস্থ দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে নাএ ঘটনায় শহীদদের আত্ম অবশ্যই কষ্ট পাচ্ছেআমাদের একটা জায়গা যেখানে মানুষ আসে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪ ডিসেম্বরএটা কী ভূলে গেছে তারা, না তারা জানেই নাযেসব ছোকড়ারা ওখানে এসব কাজ করেছেআমি দেখেছি ছোকড়ারা এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে, ইট পাটকেল মারছে, আহত করেছেন, গাড়ি ভাঙার চেষ্টা করেছেএরা ছোকড়া, টোকাইকারা এদের ভাড়া করেছে তাও জানতে চান তিনি

নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, যেসব পুলিশ কার আদেশে যারা (প্রার্থীরা) আইনানুগভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, কাজ করছেন তাদেরকে কেনো এসে তারা (পুলিশ) চ্যালেঞ্জ করে, বাঁধা দেয়, কেনো গ্রেফতার করেআমি প্রত্যেকটা অ্যারেস্টের তথ্য চাইদেশে এখনো সংবিধান আছেযে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর এক নম্বরউনি লিখে দিয়ে গেছে এদেশের মানুষ আইনের আশ্রয় পাবেপুলিশ আজকে যেটা করেছে এটা বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করেছেবঙ্গবন্ধু যেটাকে বলেছে হবে- তোমরা সেটাকে ডিফাই করেছোতোমরা বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করবে, এই বিজয়ের মাসে অমান্য করবে

বেআইনি আদেশ পুলিশের মান্য করা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি পুলিশ একাডেমিতে বহু লেকচার দিয়েছি বেআইনি আদেশ মানা একদম নিষেধবেআইনি আাদেশ মানবে না- এটা পুলিশরা জেনে রাখোযারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছে এরা চিরস্থায়ী কেউ নয়ভুলে যেও নাতোমরা তো ৫০/৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করবে আশা করোএটা মনে রেখে আজকে যে বা যাহারা আদেশ দেয় তোমাদের এটা সাংবিধানিক কর্তব্য সেই আদেশ আইনানুগ কিনা? যদি কোনো লোক আইন ভঙ্গ করছে না তাকে অ্যারেস্ট করা এটা সংবিধান ভঙ্গ করাতোমাদের শুভাকাঙ্খি হিসেবে বলছি- তোমরা সংবিধান ভঙ্গ করার অপরাধ করিও নাযারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছে তাদের দেশের মানুষ চিহ্নিত করে আগামীতে বিচারও হবে

ড. কামাল হোসেন দৃঢ় কন্ঠে বলেন, সরকার ক্ষমতায় ১৫/১৬ দিন আছেতাদেরকে বলব- বেআইনি আদেশ দেয়া বন্ধ করুন, আপনারা আইন মেনে চলুনসরকার আইনের উর্ধেব নাজেনে রাখো এই দেশে কোনো সরকার আইনের উধের্ব নাএটা হলো স্বাধীনতার অর্থএতো লক্ষ শহীদ হয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়েছেনতারা শহীদ হয়েছিলো যাতে আমরা মাথা উঁচু করে অধিকার নিয়ে বাঁচবোএই স্বাধীন দেশে ৪৭ বছর পরে দেখতে হচ্ছে- লজ্জা পাওয়া উচিৎ যারা দেশ শাসন করছেনলজ্জ্বা পাও লজ্জ্বা পাও, লজ্জ্বা পাওলজ্জ্বা পেয়ে মুখটা দেখাও না মুখটা একটু ঢেকে এদিক ওদিকে থেকে ১০/১৫ দিন কাটিয়ে দাওতোমাদের মুখ দেখব না যারা এসব অন্যায় কাজ করছেঅবিলম্বে তা বন্ধ করো১০/১৬ দিন আছো চেষ্টা করো ভলো থাকতেতারপরে কিন্তু

গণমাধ্যমকে দেশের স্বার্থে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার বিশ্বাস দেশের মানুয়ের প্রতি একশত ভাগ আস্থা আছে তারা সঠিক বিচার করবে, তারা সংবিধানকে সমুন্নত রাখবে, তারা আইনের শাসনকে দেশে ফিরিয়ে আনবেআর যারা এসব অন্যায়-অনিয়ম-অসাংবিধানিক কাজ করছে তাদের থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবে

আ স ম আবদুর রব বলেন, ওরা ভেবেছে ভয় দেখিয়ে আমাদেরকে নির্বাচনের বাইরে রাখবেসেজন্য আজকে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেকতগুলো ছেলেকে আহত করেছেএই হামলা পরিকল্পিতআমরা নির্বাচন করতে চাইসিলেটে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছেআমাদের প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতে পারছে নাআমাদের কর্মীদের এখনো নির্দেশ দিচ্ছি না, সকলকে শান্ত থাকতে হবে সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে হবেআগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে সাথে নিয়ে ব্যালট বিপ্লব করতে চাই, ব্যালটে যুদ্ধ করতে চাই, স্বৈরশাসনকে বিদায় করতে চাই

প্রটোকল ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাগ লাগিয়ে গোপালগঞ্জ গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করবেন আর আমাদেরকে প্রচারণা করতে দেয়া হবেএসব কিছ ফাইজলামি, একটা কী মগের মল্লুকপ্রধানমন্ত্রী যদি ফ্ল্যাগ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ড. কামাল হোসেনকে প্রটোকল দিতে হবেদেশবাসীর প্রতি আমাদের আহবান ধানের শীষকে জয়লাভ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করুন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবো সেখানে আক্রমন করা হবে এটা অবিশ্বাস্যএই অবিশ্বাস্য কাজগুলো সরকার ও তার দলের লোকেরা কেনো করছে এটা সকলের বোধগম্যকারণ তারা হারতে চায় নাএতো খুন-গুম, এতো দুর্নীতি-লুটপাট করেছে যে তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়অথচ আমরা আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবো নানির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো হয়ে আছে

কিছুই করেন না সিইসিতিনি মিন মিন করে বলেন আমরা বিব্রতআরে আপনারা স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানআপনাদের বিব্রত হওয়ার কথা নয়, ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা, ব্যবস্থা নেয়ার কথাআপনারা কী মসজিদের ইমাম নাকীআমি ইসিকে বলব, আজকের ঘটনাসহ গত কয়েকদিনের ঘটনার বিচার ব্যবস্থা নিননা নিতে পারলে ব্যর্থতার দায়িত্ব মাথায় নিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎএটাই তাদের জন্য সন্মানজনক হবেমনে রাখতে হবে তারা প্রজাতন্ত্রের মানুষ সরকারের না

নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা খুবই সংগত দাবি প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে যাবেন সমস্ত প্রটোকল নিয়ে, এটা তিনি যেতে পারেন নাপ্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল প্রত্যাহার করা হোক, মন্ত্রীদের সব প্রটোকল বন্ধ করা হোক, গ্রেফতার করা হোকযদি মনে করেন, এরকম করে নির্বাচন পার হয়ে যেতে পারবেন- পারবেন নাআমরা নির্বাচন পর্যন্ত আছি ২৯ তারিখ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে আছি

কিন্তু ৩০ তারিখে এই কামড় অন্যদিকে চলে যাবে৩০ তারিখে ব্যালেট বিপ্লব করবেসারাদেশে বিভিন্ন প্রার্থীদের ওপর হামলার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেক অভিযোগ করেছেন কোনো রকম প্রতিকার করেনি


গতকাল শুক্রবার সিইসি এমন মন্তব্য করেছে যা কমিশন সরাসরি আমাদের বিরুদ্ধে ও সরকারের পকেটে চলে যাওয়ার মতো আচরণ করছেন


শেয়ার করুন

0 facebook: