প্রতিকি ছবি |
জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীতে মঙ্গলবার রাতে
নির্বাচনী কাজের কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে (৪০) গণধর্ষণ
করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ যাচাই করে দেখতে ওই গৃহবধূকে গতকাল বুধবার রাজবাড়ী সদর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল দুপুরে খবর পেয়ে
সাংবাদিকরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখেন ওই নারী অপারেশন থিয়েটারের সামনে
অপেক্ষা করছেন। সাংবাদিকরা পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর
বাড়ি সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নে। তিনি পর পর দুইবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে
জনগণের সেবা করেছেন এবং গতবারের নির্বাচনে ২৩ ভোটে হেরে যান।
ওই নারী আরো বলেন, তিনি
জেলা বিএনপির একজন সহসভাপতির আত্মীয় বলে এলাকায় বিএনপিপন্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে
পরিচিতি রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনী ডামাডোলে তিনি নামেননি, নিজের
মতো করে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাঁর বাড়িতে
ঢোকে আরশাদ আলম, বাহার
ও পরিতোষ নামে এলাকার তিন দুর্বৃত্ত। তারা তাঁকে ঘর থেকে ডেকে নেয় এবং বিএনপির
নির্বাচন কেন করছি জানতে চায়। তিনি নির্বাচনের সঙ্গে এবার জড়িত হননি বলার পরও তারা
তাঁকে প্রথমে লাঠিপেটা করে,
তারপর নিয়ে যায় অদূরের এক মাঠে এবং তিনজন পালাক্রমে তাঁকে
ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে খোঁজাখুঁজির খবর তিনজনের একজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেয়ে যায়।
তখন তারা ঘাবড়ে গিয়ে ওই নারীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং মুখ না খোলার জন্য শাসিয়ে
যায়।
অভিযোগকারী নারী আরো
বলেন, হুমকি
আমলে না নিয়ে গতকাল সকালে তিনি রাজবাড়ীর আলীপুরে অবস্থান করা সেনাবাহিনীর সদস্যদের
কাছে অভিযোগ নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। পরে
তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক
মো. শওকত আলী বলেন, ওই
নারী তাঁকে জানিয়েছেন নির্বাচন সংক্রান্ত কথা বলে বাড়ি থেকে মাঠের মধ্যে নিয়ে
তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন।’
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
ধর্ষণ
রাজনীতি
0 facebook: