![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশের ঝোপে এক আওয়ামী লীগ নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম আলতাফ হোসেন ওরফে কানা আলতাফ।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন আলতাফের লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত আলতাফ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও একই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানিয়েছেন মরিয়মনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক। আলতাফের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে।
আলতাফের ভাই মোহাম্মদ সুমনের অভিযোগ করেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে গ্রামের একটি সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলতাফ। সেখান থেকে ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) পরিচয়ে কিছু লোক তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাপ্তাই সড়কের কাটাখালী এলাকার ঝোপের ভেতরে তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায় পথচারীরা। স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, পুলিশ কাউকে তুলে নিয়ে যায়নি। কিন্তু ঝোপের ভেতরে আলতাফের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, নিহত আলতাফ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গুলিবিদ্ধ লাশের পাশে একটি পিস্তল ছিল। স্বজনেরা কেবল লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। ওই পিস্তল অন্য কেউ নিয়ে গেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঁঞা বলেন, ঝোপ থেকে স্বজনেরা লাশটি উদ্ধার করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ আলতাফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পিস্তলের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।
খবর বিভাগঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
বিভাগীয় সংবাদ
রাজনীতি
0 facebook: