![]() |
শুক্রবার সকালে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন।
এ ঘটনার জের ধরে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি জাহিদ হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তোফাজ্জল মিলিটারির লোকজন ইউসুফ আকন্দকে সোনামুই বাজার থেকে সাহাপাড়ায় ধরে নিয়ে রামদা ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রতিপক্ষের ২২টি পরিবারের কমপক্ষে ৩০টি ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙেচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় উভয়পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। পরে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বিলাত মেম্বারের ছেলে নাসির উদ্দিনকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আটক বিলাতকে স্থানীয়রা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ ও গুলিতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- জনি (২০), নুরুল আকন্দ (৭৫), আক্তার (২৮), মারুফ হোসেন (৫৫), শরিফ (৩৫) ও সামছুল আকন্দ (৪৫), ইউসুফ আকন্দ (৪৫) ও গোলাম মোস্তফাসহ (৩৫) অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে ইউসুফ আকন্দ (৪৫) ও গোলাম মোস্তফাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোতাহার হোসেন জানান, তোফাজ্জল মিলিটারি ও তার লোকজন সব সময় এলাকায় নানা বিশৃঙ্খলা করে বেড়ায়। তার নেতৃত্বেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। বিশৃঙ্খলাকারী কেউ আওয়ামী লীগের হতে পারে না। তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
0 facebook: