পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুনাটিকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ওই এলাকার গজনাইকান্দি, সুনাটিকি, সুপ্রাকান্দি, মিয়ারকান্দি, বড়পাথর ও পথেরগাঁও গ্রামের লোকজন ভোট দেন। গত রোববার ভোটের দিনে ভোটগ্রহণ শেষে স্থানীয় লোকজন হট্টগোল করে। এতে গণনার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যালট বাক্স বিদ্যালয়ের দোতলায় নিয়ে নিচের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে ভোট গণনা করা হয়। এসময় হট্টগোলের বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসার রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বণিককে জানান। তিনি ও ওসি তদন্ত দুটি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণার জন্য কাগজ হাতে নিয়ে নিচে আসেন। পুলিশের যাওয়ার পরক্ষণেই ওই এলাকার বিএনপি সমর্থকরা পাকা সড়কে নৌকা তুলে রেখে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।
বিষয়টি পুলিশ আচ করতে পেরে মালামাল নিয়ে ফিরে আসার জন্য গাড়িতে উঠতে গেলেই বিএনপি সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে রাজনগর থানা ওসি শ্যামল বণিক, ওসি তদন্ত আবুল কালাম ও সহকারী প্রিজাংডিং অফিসারসহ মোট ১৪ জন আহত হন। গুরুতর আহত ওসি শ্যামল বণিকসহ ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি শামাল দিতে পুলিশ ৫২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় হামলা চালিয়ে পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সরকারী মোবাইল ফোনটিও খোঁয়া যায়।
এঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার রাজনগর সরকারী কলেজের প্রভাষক সেলিম আহমদ বাদী হয়ে ওই কেন্দ্রের ৬টি গ্রামের ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৮শ জনকে আসামী করে মামলা (নং-২৮) করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে পুলিশের ভয়ে ওই এলাকার ৬ গ্রাম পূরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। রাতের বেলা কেউই বাড়িতে থাকছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, এখন বুরো মৌসুমের সময়। এ এলাকার লোকজন বুরো খেত করেন। কিন্তু পুলিশের ভয়ে কেউ বাড়িতে আসছেন না। দিনে মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে আবারো চলে যাচ্ছেন।
রাজনগর থানার উপপরিদর্শক শংকর নন্দি মজুমদার বলেন, মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলশ নিয়মিত টহল জোরদার ও অভিযান চালাচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
মৌলভীবাজার
রাজনীতি
0 facebook: