ছবিঃ কাবিল বিশ্বাস ও তার ঘাতক স্ত্রী |
জানা যায়, শনিবার (১২জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার মশিন্দা মাঝ পাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত কাবিল বিশ্বাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধানকুড়িয়া চরপাড়া গ্রামের নওশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। রুমি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর মেয়ে।
রুমি’র পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত পাঁচ মাস পূর্বে কাবিল বিশ্বাসের সাথে রুমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর সাথে অতিরিক্ত শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে স্বামীর অতিরিক্ত চাহিদা সহ্য করতে না পেরে গত ১ জানুয়ারী শীতের পিটা খাওয়ার কথা বলে রুমি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।
জুম্মাবার কাবিল হোসেন মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। রুমির বাবার বাড়ীতেও রাতে ওই একই ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে কাবিল বিশ্বাস। রাতে শ্বশুর বাড়ীতে শারীরিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কলহ হয়। এর এক পর্যায়ে স্বামী কাবিল ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার অন্ডকোষসহ পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে স্ত্রী রুমি।
এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিহত কাবিলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় নিহতের ঘাতক স্ত্রী রুমি খাতুনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। নিহতের বাবা নওসের বিশ্বাস জানান, তার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে। ছেলেকে পিটা খাওয়ানোর কথা বলে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে নিয়ে আসে।
কোন পরকীয়ার কারনে এধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। তার ছেলে হত্যার তদন্ত করে দিষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ সেলিম রেজা বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
রাজশাহী বিভাগ
0 facebook: