![]() |
গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার চরঝাপটার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ৩৪ জন শ্রমিকদের মধ্যে ১৩ জন সাঁতার জানায় প্রাণে বাঁচলেও ২১ জন নিখোঁজ হন। নিখোঁজ শ্রমিকের মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি ভাঙ্গুড়া উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নে এবং অপর তিনজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। নিখোঁজ ২১ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। নিখোঁজের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারী।
মাটি কাটার শ্রমিক হিসেবে সম্প্রতি তারা ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাদারবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল হাই (শ্রমিক সরদার) এর তত্ত্বাবধানে মুন্সিগঞ্জ যান।
জানা গেছে, ঐদিন রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি তুলে নিয়ে শ্রমিকরা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী যাচ্ছিলেন। চরঝাপটার কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্যাংকার ট্রলারে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে খান মরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের মোঃ শাহ আলম (রতন) জানান,মাটি নিয়ে ফেরার পথে ট্রলারের মাঝিসহ চারজন পিছন দিকের ছাউনির উপর বসে ছিলেন। তারা সাঁতার জানায় প্রাণে রক্ষা পেলেও ২১ জন শ্রমিক ট্রলারের পাটাতনের নিচের ডেকে ঘুমিয়ে ছিলেন ফলে তারা ট্রলারের সাথে ডুবে যান। এদের মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। অপর তিনজনের বাড়িপাশ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল ও বনমালিপ্রতাপ গ্রামে।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন,মন্ডুমালা গ্রামের মানিক হোসেন(২৬), তুহিন(১৯), নাজমুল(১৯), জাহিদুল(১৯),সোলেমান(৩০),নাজমুল(১৯)। রমানাথপুর গ্রামের আলিপ(২৫), মোস্তফা(১৮)। দাসমরিচ গ্রামের রুহুল(৩৮), মোশারফ(৪০),ওমর আলী(২২), মোন্নাফ(২০), ইসমাইল (৪০)। মাদারবাড়িয়া গ্রামের আছাদ(৩২)। চন্ডিপুর গ্রামের আমির(১৮) ও হাসান(৩০)। অপর দুজন হলেন উল্লপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের রহমত(৩৫)ও বনমালিপ্রতাপ গ্রামের শফিকুল এবং অপরজন স্থানীয় বাসিন্দা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলার কিংবা লাশ কোনটাই উদ্ধার করা যায়নি।
গতকাল দিনভর নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় উদ্ধারতৎপরতা শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোন সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় অভিযানিক দল অভিযান স্থগিত করে দেয় সন্ধ্যায়।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
দুর্ঘটনা
0 facebook: