05 February 2019

বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে দেড় লাখ


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দু’লাখ লোক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রায় দেড় লাখ লোক মারা যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত’র সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল 'বিশ্ব ক্যান্সার দিবস' উপলক্ষে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্রঃ ফাষ্টটুডে

ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং এই রোগ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি এই দিবসটি পালিত হয়।

ইতোমধ্যে দেশের ৮টি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে, এক্ষেত্রে সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে জুড়ে না দিয়ে আলাদা স্থানে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো গতকালের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপকূলবাসীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত। এ নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৬৮ জন ক্যান্সার রোগী। ২০১৭ সালে শনাক্ত হয় ৪ হাজার ৫০৮ জন রোগী।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা বেশি। তারা ফুসফুস ও শ্বাসনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে নারী বেশি আক্রান্ত হচ্ছে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারে। 

হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের  উপকূলীয় উপজেলাগুলোর বাসিন্দাদের ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।

রেডিওথেরাপি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলী আজগর চৌধুরী গণমাধ্যমকে  বলেছেন, কয়েক বছর ধরে আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ এসব এলাকার বাসিন্দা।’

এ রোগের চিকিৎসার পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেছেন, এ ব্যাপারে সুফল পেতে হলে অধিক সংখ্যক হাসপাতালে কয়েকটি আবশ্যকীয় বিভাগ স্থাপন, দ্রুত রোগ সনাক্তকরণ এবং গবেষণা কাজ বাড়াতে হবে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মেডিকেল অনকোলজিস্ট অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঝুঁকি থাকুক আর না থাকুক, কিছু কিছু উপসর্গ অবহেলা না করাই উচিত। যেমনঃ আকস্মিক ওজন কমা, হঠাৎ রক্তশূন্যতা, চল্লিশের পর হঠাৎ ভীষণ অরুচি, স্তন বা যেকোনো জায়গায় কোনো গোটা বা দানা বুঝতে পারা, মুখের ভেতর দীর্ঘমেয়াদি ঘা, এক মাসের বেশি কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত, কণ্ঠস্বরের আকস্মিক পরিবর্তন, মলের সঙ্গে রক্তপাত, কালো রঙের পায়খানা ইত্যাদি কিছু উপসর্গ সব সময়ই সন্দেহজনক। এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে সমস্যা শনাক্ত করা দরকার।


শেয়ার করুন

0 facebook: