![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ পিলখানা হত্যার বিচারের রায় দ্রুতই কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পিলখানায় বিডিআর হত্যার ১০ বছরে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, ‘সবচেয়ে বড় যে অংশটি ছিল বা চ্যালেঞ্জটি ছিল তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা। সেটা আমরা সুসম্পূর্ণ করেছি। আমাদের আইনজীবীরা এবং বিজিবি’র যে সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন তারা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে এই বিচারকাজটি শেষ করেছেন এবং আপিলও শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকজনের ফাঁসির রায়ও হয়েছে।’
সকালে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনবাহিনীর প্রধান ও বিজিবির মহাপরিচালক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এছাড়াও বিজিবির সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর নিহতদের জন্য দোয়া ও মিলাদ হয়েছে।
পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি, বিডিআরের বিপথগামী কিছু সদস্যের নির্মম হামলায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়। ২০১৭ সালে পিলখানা হত্যা মামলার রায় হলেও এখনো মেলেনি রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি। আর ঢিমেতালে চলছে বিস্ফোরক মামলার বিচার। গত ১০ বছরে স্বাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। সিআইডি তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৮৫০ জনের বিরুদ্ধে আর বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
২০১৭ সালের নভেম্বরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আপিলে হাইকোর্ট ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। বাকি ৮ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রয়েছে। বাকি ১২ জন খালাস পেয়েছেন ও ২ জন মারা গেছেন। তবে, এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ করা হয়নি।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: